নয়াদিল্লি: প্রয়াত সুপ্রিম কোর্টের অভিজ্ঞ আইনজীবী ফালি এস নারিমান। ৯৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। বুধবার সকালে দিল্লিতে নিজের বাড়িতে মারা গিয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। তাঁর মতে, নারিমানের মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান হল। (Fali S Nariman Dies)


শুধুমাত্র অভিজ্ঞ আইনজীবী হিসেবেই নন, সংবিধান বিশেষজ্ঞ হিসেবেও প্রসিদ্ধ ছিলেন নারিমান। সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ দিন প্র্যাকটিস করেছেন। তবে যাত্রা শুরু ১৯৫০ সালে বম্বে হাইকোর্ট থেকে। দীর্ঘ ৭০ বছর আইনের পেশায় যুক্ত ছিলেন। ১৯৭২ সালের মে মাসে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলও নিযুক্ত হন। সেই সময়ই মুম্বই থেকে দিল্লিতে সরে আসেন। (Supreme Court)


১৯২৯ সালে বর্মার রেঙ্গুনে জন্ম নারিমানের, যা তৎকালীন ব্রিটিশ শাসকের অধীনে ছিল। ইন্দিরা গাঁধী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে ইস্তফা দেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম পদ্ধতির অন্যতম স্রষ্টাও বলা হয় তাঁকে। সংখ্যালঘুদের অধিকার সুনিশ্চিত করার পক্ষেও দীর্ঘ আইনি লড়াই চালিয়ে যান। 



আরও পড়ুন: Shashi Tharoor: রাজনীতি থেকে লেখালেখি, সবেতেই সফল, ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পেলেন শশী




১৯৯১ সালে 'পদ্মভূষণ' সম্মান পান নারিমান। ২০০৭ সালে আবার 'পদ্মবিভূষণ' সম্মান পান। ১৯৯১ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ আর্বিট্রেশনের ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন নারিমান। ১৯৯৫ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জেনিভায় ইন্টারন্যাশনাল কমিশন অফ জ্যুরিস্টের এগজিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যানও নিযুক্ত ছিলেন।



স্পষ্টবক্তা হিসেবেই পরিচিত ছিলেন নারিমান। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের পক্ষে ছিলেন তিনি, নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের পক্ষে ছিলেন। জম্মু এবং কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা খর্ব, অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত সম্প্রতি বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সেই নিয়ে শীর্ষ আদালতের সমালোচনাও করেন নারিমান। ভারতীয় সংবিধান, আইন নিয়ে বইও লেখেন তিনি।