নয়া দিল্লি: দেশে কমছে কোভিড। সেই আবহে বুস্টার ডোজ নিয়ে দেশে বাড়ছে অনিশ্চয়তা। একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে যে বর্তমানে দেশের জনসংখ্যার যোগ্যদের মধ্যে ৪২ শতাংশ  বুস্টার ডোজ নিতে ইচ্ছুক নয়। ভারতের ক্ষেত্রে দেখা গেছে মোট যোগ্য জনসংখ্যার ৪২ শতাংশ বুস্টার ডোজ নিতে আগ্রহী নন। 


স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জারি করা বুলেটিন অনুসারে ৩রা ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ১.২৫ কোটি যোগ্য মানুষকে ইতিমধ্যেই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। যারা যোগ্য তাদের মধ্যে ২৯% করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আরও ২৯ % মানুষ করোনা সংখ্যা কিছুটা কমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে এদের মধ্যে ১৪ শতাংশের বুস্টার শট নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। 


স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ওমিক্রনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে হালকা লক্ষণ এবং কম মৃত্যুর হারের কারণ। ফলে বুস্টার নেওয়ার চাহিদা কম। ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) সম্প্রতি জানিয়েছে যে সতর্কতা ডোজ নিয়ে দ্বিধা ছিল মূলত স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের বিভাগে প্যারামেডিকদের মধ্যে। এর মধ্যে রয়েছে নার্স, থেরাপিস্ট, টেকনিশিয়ান এবং চিকিৎসা সেবার সাথে জড়িত অন্যান্য আনুষঙ্গিক কর্মীরা।


ওমিক্রন দাপট ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে অনেকেই টিকা কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার ঝুঁকি নিতে চাননি বললেও সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া প্রায় ৮১ শতাংশ নাগরিক চান যে সরকার শিশুদের জন্য টিকা এবং সতর্কতা ডোজ “হর ঘর দস্তক” কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করুক। টিকা কেন্দ্রে ভিড় কমাতে সরকারের কি অবিলম্বে “হার ঘর দস্তক” কর্মসূচিতে শিশুদের জন্য এবং বয়স্কদের জন্য টিকা অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। 


এদিকে, রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নামল হাজারের নীচে। কমল দৈনিক সংক্রমণও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে  জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৮৬৫।