মুম্বই: সুশান্ত সিংহ রাজপুতের কোনও জীবন বিমা ছিল না। এমনটাই জানালেন প্রয়াত অভিনেতার পারিবারিক আইনজীবী বিকাশ সিংহ। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সুশান্তের পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভুয়ো খবর প্রচারিত হচ্ছে সংবাদমাধ্যমে। তিনি যোগ করেন, সুশান্তের তিন বোন তাতে প্রচণ্ড আহত হয়েছেন। সেগুলির ওপর থেকে পর্দা ওঠাতেই এই সত্যের খোলসা করা হল।


সম্প্রতি, রিয়া চক্রবর্তীর আইনজীবী সতীশ মণিশিণ্ডে দাবি করেন, সুশান্তের বড় পরিমাণের একটা জীবন বিমা ছিল। এদিন সেই অভিযোগ খারিজ করেন বিকাশ সিংহ। তিনি বলেন, এরকম খবর প্রচারিত হচ্ছিল যে, সুশান্তের একটি বড় জীবন বিমা ছিল। আত্মহত্যা প্রমাণিত হলে সেই টাকা পাবেন না পরিবারের সদস্যরা। তাই খুনের তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালাচ্ছে পরিবার। আমি বলে দিতে চাই, সুশান্তের কোনও জীবন বিমা ছিল না।


এরইমধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্যও উঠে এসেছে। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, সুশান্ত তাঁর মৃত্যুর ১ মাসে আগে তাঁর যাবতীয় আর্থিক বিনিয়োগের নমিনি করেন, তাঁর দিদি প্রিয়ঙ্কাকে। ব্যাঙ্কের এক প্রতিনিধির সঙ্গে সুশান্তের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে এসেছে। সেখানেই ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে যাবতীয় কথা বলা হয়েছে।


প্রসঙ্গত, সুশান্তের মৃত্যুর কারণ নিয়ে অভিনেতার পরিবারের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বয়ান দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও সংবাদমাধ্যমে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যাকে হাতিয়ার করেছেন রিয়ার আইনজীবী।


সূত্রের দাবি, সুশান্তের মৃত্যুর পর, মুম্বই পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে তাঁর তিন দিদিই বলেন, সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন। সূত্রের দাবি, মুম্বই পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে, সুশান্তের দিদি মিতু বলেন, ২০১৩ থেকেই ডিপ্রেশনে ছিলেন সুশান্ত। তখন এনিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শও নেন তিনি। ২০১৯-এর অক্টোবর থেকে সুশান্ত ফের ২০১৩ সালের কথা বলতে শুরু করেন। সূত্রের দাবি, সুশান্তের বাবাও মুম্বই পুলিশকে জানান, সম্ভবত পেশাগাত ব্যর্থতার জেরেই সুশান্ত আত্মহত্যা করেছেন।


কিন্তু, সুশান্তের মৃত্যুর ৪১ দিন বাদে পাটনার রাজীবনগর থানায় তাঁর পরিবার এফআইআর দায়ের করে অভিযোগ করে, রিয়া চক্রবর্তী সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছেন। এবং ১৫ কোটি টাকা গায়েব করেছেন।


এই প্রসঙ্গেও, সাফাই দেন সুশান্তের বাবার আইনজীবী বিকাশ সিংহ। তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই বলে আসছি রিয়া সুশান্তের জীবনে আসার পর থেকে সুশান্ত মানসিক সমস্যায় ছিল। আমরা এটা প্রথমবার বলছি না। এরসঙ্গেই তিনি যোগ করেন, সুশান্তের বাবার অনুমতি ছাড়া অভিনেতার জীবন নিয়ে কোনওপ্রকার বই, সিরিয়াল বা ছবি যেন তৈরি করা না হয়।