কাঠমাণ্ডু : দেশের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। আবারও ইতিহাস গড়লেন সুশীলা কার্কি। এবার নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন। অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেল। অন্তর্বর্তী মন্ত্রিসভায় অবশ্য কাউকেও এখনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রের খবর।

কেপি ওলির পদত্যাগের চার দিন পর আজই রাতে প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পৌডেলের কাছে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে পারেন সুশীলা কার্কি। কিছু আগেই সামনে আসে এমন খবর। সেইমতো শপথ নিলেন Gen Z-র এক নম্বর পছন্দ ও নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি।

কার হাত ধরে ঘুরে দাঁড়াবে নেপাল ? এনিয়ে আলোচনা চলছিলই। এক্ষেত্রে সবার প্রথমে নাম উঠে আসে নেপালের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির। যিনি কিনা বেণারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। জানা যায়, জেন জির প্রথম পছন্দ সুশীলা কার্কির নামে সমর্থন রয়েছে কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন্দ্র শাহেরও। যদিও এরই মধ্যে আরও একটি নাম সামনে আসে। নেপালের বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রাক্তন CEO কুল মান ঘিসিং। জামশেদপুরের রিজিওনাল ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক তিনি। নেপালে ভয়ঙ্কর লোডশেডিং সমস্য়া ঘোঁচানোর সুবাদেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কিন্তু ২০২৫ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র চার মাস আগে, 'ম্যানেজিং ডিরেক্টর' পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে দেয় কেপি ওলি সরকার। যা নিয়ে দেশের নানা জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। এহেন কুল মান ঘিসিং নাকি দুর্নীতির সঙ্গে আপোসহীন সুশীলা কার্কি কাকে বেছে নেবে Gen Z তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর পৌঁছানো যায় সিদ্ধান্তে। 

নেপালের Gen Z ঘোষণা করে, তারা সুশীলার নেতৃত্ব গ্রহণ করতে রাজি। অবশ্য এর পিছনে একাধিক শর্ত আরোপ করেন তাঁরা। তার মধ্যে রয়েছে সংসদ ভেঙে দেওয়া। সাংবাদিক বৈঠকে Gen Z গ্রুপের একাংশ বলে, "We Nepali Group" নিশ্চিত করছি যে আমরা বৃহত্তর সহমতে আসতে পেরেছি। গ্রুপের প্রেসিডেন্ট সুদান গুরুং জানান, সংসদ ভেঙে দেওয়া তাঁদের মূল দাবিগুলির অন্যতম। তারপরই পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য এগনো যেতে পারে।

সুদান গুরুং জানান, Gen Z-র প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ একটি মন্ত্রিসভা গঠন করা উচিত। মন্ত্রিসভা গঠন এবং এই সম্পর্কিত প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও আলোচনা চলছে।