কলকাতা: আলাপনকাণ্ডে একযোগে প্রাক্তন মুখ্যসচিব ও মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ট্যুইট, নিজের অহংয়ের জন্য দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ধ্বংস করতে এবং শৃঙ্খলাভঙ্গকারী মুখ্যসচিবকে রক্ষা করতে (অ-বিধায়ক) মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর দফতর ও দেশের সংবিধানকে কলঙ্কিত করছেন।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আরও লিখেছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও মহামারীর সময় সার্ভিস রুল ভাঙার এবং অশুভ রাজনৈতিক খেলার জন্য সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা না করায় বিদায়ী মুখ্যসচিবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করছি। তৃণমূল রাজ্যের মানুষকে দুর্দশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। করের টাকা লুঠ করাই তৃণমূলের শখ। বিদায়ী মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর বর্তমান ‘উপদেষ্টা’ মাসে আড়াই লক্ষ টাকা বেতন পাবেন, যা অনেক ভাল কাজে ব্যবহার করা যেত।
শুভেন্দু এই বক্তব্যকে নস্যাৎ করে দিয়েছে তৃণমূল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর মুখে এ সব মানায় না। সারদা ও নারদা কাণ্ডে অবিলম্বে শুভেন্দুর গ্রেফতার হওয়া উচিত। এর থেকে বাঁচতে তিনি বিজেপি স্মরণ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় ইয়াস ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তার আগে আকাশপথে তিনি ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করেননি। ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেননি। তিনি রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দিয়ে এসেছিলেন। পর্যালোচনা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ওই দিনের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত বেঁধেছে। ২৮ মে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার দিল্লিতে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখে মুখ্যমন্ত্রী বদলির নির্দেশ প্রত্যাহারের আর্জি জানান। উল্লেখ্য, গত ২৪ মে আলাপনের কার্যকালের মেয়াদ আরও তিন মাস বৃদ্ধির ব্যাপারে রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করেছিল। গতকাল সোমবার ছিল আলাপনের কর্মজীবনের শেষ দিন। ওইদিন বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আলাপন অবসরের অনুমতি চেয়েছিলেন। অর্থাৎ, তিনি মেয়াদবৃদ্ধি গ্রহণ করতে চাননি। ফলে আলাপন অবসর নিয়েছেন। এর পরদিন থেকে আলাপন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন বলেও গতকাল জানান মুখ্যমন্ত্রী।