গুয়াহাটি : ২৭ মে। কোভিড থেকে সেরে ওঠার পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মহিলা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে। আদিবাসী ওই মহিলাকে পথেই অপহরণ করে দুই দুষ্কৃতী। তাঁকে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী এক চা বাগানে। সেখানেই অভিযুক্তরা নির্যাতন চালায় মহিলার ওপর। শনিবার পুলিশে অভিযোগ জানান ওই মহিলা। তাঁর ডায়েরির ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা পূর্ব অসমের চাড়াইদেও জেলার।
'নির্যাতিতা' মহিলার মেয়ে জানিয়েছেন, কদিন আগেই পরিবারের সকলের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই কাছের সাপাখেতি মডেল হাসপতালে ভর্তি হন তাঁরা। রিপোর্ট নেগেটিভ আসতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে বাড়ি যাওয়ার কথা বলেন। রাত হয়ে যাওয়ায় চাওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্স। কিন্তু মা ও মেয়েকে অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দেয় হাসপাতাল। 'নির্যাতিতা'র মেয়ের দাবি, নাইট কার্ফু থাকায় রাতে হাসপাতালেই থেকে যেতে চান তাঁরা। যদিও ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, রাতে হাসপাতালে থাকা যাবে না।
নির্যাতিতার মেয়ে আরও জানিয়েছেন, ডাক্তারদের মুখে না শুনে মধ্যরাতেই বাড়ির দিকে হাঁটা দেন তাঁরা। পথে তাদের পিছু নেয় দুই ব্যক্তি। কোনওক্রমে পালানোর চেষ্টা করলে মাকে অপহরণ করে অভিযুক্তরা। পরে গ্রামে গিয়ে সবাইকে খবর দিলে মায়ের খোঁজ শুরু হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা পর খোঁজ মেলে মায়ের।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় থানার সিনিয়র এক পুলিশ আধিকারিক সুধাকর সিং জানিয়েছেন, ঘটনার পরই এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। এখনও এই বিষয়ে কোনও রিপোর্ট আসেনি। রিপোর্ট এলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিকে ধর্ষণের ঘটনার পরই সরব হয়েছে কংগ্রেস ও অসম চা উপজাতি ছাত্র সংগঠন। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছে তারা। ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলেছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব মহন্ত। তিনি বলেন, ''রাজ্যে কোভিড নেগেটিভ রোগীদের বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুল্যান্স থাকাটা জরুরি।''