ত্রিচি: ব্যাঙ্কের লকারে পাওয়া গেল ৫০০ কোটির শিবলিঙ্গ। দক্ষিণ ভারতের তানজাভুরে এই প্রাচীন শিবলিঙ্গ উদ্ধার করেছে সিআইডি। যার বাজারমূল্য শুনে আঁতকে উঠবেন আপনিও।
গোপন সূত্রে আগেই খবর এসেছিল দক্ষিণের গোয়েন্দাদের কাছে। সেই অনুযায়ী শুরু হয় তল্লাশি। গোয়েন্দাদের টিপাররা জানিয়েছিল, চেন্নাইয়ের তানজাভুরের একটি বাড়িতে রাখা রয়েছে বহু মূল্যবান প্রাচীন একটি শিবলিঙ্গ। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে কোটি টাকা। এই খবর জানতে পেরেই আর দেরি করেননি সিআইডি অফিসার কে জয়ন্ত মুরলী। তড়িঘড়ি ওই বাড়িতে অভিযান চালায় তাঁর দল।
তানজাভূরের সেভেন ক্রস স্ট্রিটের একটি বাড়িতে এই অভিযানে যান পুলিশের বড়কর্তারা। সেখানে বাড়ির লোকজনকে জিজ্ঞসাবাদ করতেই বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পরিবারের বড় ছেলে এন এস অরুন জানান, ব্যাঙ্কের লকারে রয়েছে সেই প্রাচীন শিবলিঙ্গ। তাঁর বাবা এন এ সিমিয়প্পম সেটি ব্যাঙ্কের লকারে রেখে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে কিছুই জানতেন না তিনি। পরে পুলিশের হাতেই তুলে দেওয়া হয় সেই অ্যান্টিক পিস।
৮ সেন্টিমিটার উচ্চতার এই শিবলিঙ্গের ওজন ৫৩০ গ্রাম। সবথেকে বড় বিষয়, এই প্রাচীন শিবলিঙ্গ তৈরি হয়েছে পান্না দিয়ে। সেই কারণে এ বাজারমূল্য এখন আকাশছোঁয়া। ইতিমধ্যেই এই প্রাচীন শিবলিঙ্গের বিষয় যাচাই করিয়েছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, পান্নার এই শিবলিঙ্গ নকল নয় পুরো খাঁটি পাথর দিয়ে তৈরি। জেমোলজিস্টরা এর দাম ৫০০ কোটি টাকার বেশি হবে বলে অনুমান করছেন।
যদিও শিবলিঙ্গের এই বাজারমূল্য নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন ইন্ডিয়া প্রাইড প্রজেক্টের এস বিজয় কুমার। তাঁর মতে, ৮০-র দশকে দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দির থেকে এই ধরনের প্রাচীন জিনিস চুরি হয়েছে। তবে এর বাজার মূল্য ৫০০ কোটি হবে কিনা সন্দেহ আছে। ইতিমধ্য়েই দক্ষিণের বিভিন্ন মন্দির কমিটির সঙ্গে এই মূর্তির বিষয়ে কথা বলতে শুরু করেছে পুলিশ। তাদের ধারণা, ২০১৬ সালে তিরুকুভালাই শিব মন্দির থেকে এই শিবলিঙ্গই চুরি হয়েছিল। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই পুলিশ নিশ্চিত হতে পারছে না।