মাদুরাই : গোপনে অক্সিজন সিলিন্ডার, রেমডেসিভির মজুত করলে গুন্ডা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাজ্যে কোভিডকালে কালোবাজারি রুখতে এমনই হুঁশিয়ারি দিল তামিলনাড়ু সরকার। 


তামিলনাড়ুর করোনা পরিস্থিতি বলছে, করোনা নিয়ে চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর। নতুন করে রোগীদের চিন্তা বাড়িয়েছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। সম্প্রতি এমনই এক চক্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার এই ওষুধ নিয়ে জালিয়াতি চক্র ধরতে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে তামিলনাডু সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, কেউ অক্সিজেন বা রেমডেসিভির গোপনে মজুত রাখলে তার বিরুদ্ধে গুন্ডা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


ক'দিন ধরেই রাজ্য সরকার পরিচালিত ওষুধের দোকানের পাশে বিশাল লাইন পড়ছে কোভিড রোগীর পরিবারের। বেশিরভাগের হাতেই কোভিডের ওষুধ রেমডিসিভিরের প্রেসক্রিপশন। বেসরকারি হাসপাতাল থেকে পাঠানো হচ্ছে এই রোগীদের। এরপরই ওষুধের কালোবাজারি রুখতে গুন্ডা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে রাজ্য সরকার।এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিন বলেন, ''সমাজবিরোধীরা রেমডিসিভির মজুত করে তা বেশি দামে কালোবাজারি করছে। এটা খুবই গুরুতর অপরাধ।''


রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি বলছে, পর্যাপ্ত রেমডিসিভির রয়েছে রাজ্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে। এমনকী ফ্রেশ স্টক আসার কথা রয়েছে রাজ্যে। যদিও কোভিড রোগীদের পরিবারের কথা ভেবে কিলপউক মেডিক্যাল কলেজে রিটেইল সেন্টার খোলে রাজ্য সরকার। মূলত, রেমডিসিভিরের আকাল ঘোচাতেই ২ সপ্তাহ আগে এই সেন্টার খোলা হয়। একটা সেন্টারে ভিড় বাড়তে থাকলে মাদুরাই, ত্রিচি সালেনে আরও রেমডিসিভিরের সেন্টার খোলে রাজ্য সরকার। কিলপউক মেডিক্যাল কলেজে রিটেইল সেন্টার ভিড় বাড়তে দেখে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয় এই সেন্টার। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে সেখানেও ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। 


এরই মধ্যে শুক্রবার রাজ্যে রেমডিসিভিরের কালোবাজারি ধরে ফেলে পুলিশ। বাংলাদেশ থেকে চোরাপথে তামিলনাড়ুতে ঢুকছিল এই ওষুধ। যা হায়দরাবাদের একটা ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে রাজ্যে আসছিল। সেই হানায় রেমডিসিভিরের ২০৫ টি ভায়াল উদ্ধার করে পুলিশ। সাধারণভাবে একজন রোগীর ৬টি ভায়াল প্রয়োজন হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৯ হাজার টাকা।