নয়াদিল্লি : ভারতের অন্যতম বড় আইটি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেসে (Tata Consultancy Services) আলোড়ন। সংস্থার কর্মীরা কার্যত গণ ইস্তফা দিচ্ছেন ! আর যে তালিকায় বেশিরভাগই মহিলা। টিসিএস সম্প্রতি তাদের কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম (Work From Home) বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর রিমোট কাজ করার সুবিধা চলে যাওয়ার জেরেই সেই সংস্থায় কার্যত গণ ইস্তফা দেওয়ার হিড়িক পড়েছে। টিসিএস কর্তৃপক্ষ কার্যত মেনেও নিয়েছে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই একাধিক মহিলা কর্মী ইস্তফা দিচ্ছেন।
টিসিএসে প্রায় ৬ লক্ষ কর্মী কাজ করেন। যার মধ্যে ৩৫ শতাংশই মহিলা। গত বছর থেকেই একের পর এক আইটি সংস্থাতে শুরু হয়েছে ব্যাপক ছাঁটাই।তার মাঝে অবশ্য বেশিরভাগ কর্মীই ধরে রেখেছিল টিসিএস (TCS)। কিন্তু এবার সংস্থাই ছাড়ছেন অনেকে। কিন্তু ঠিক কেন এই গণ ইস্তফা ? ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, গোটা বিশ্বে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছিল ওয়ার্ক ফ্রম হোম। স্বাস্থ্যকে প্রাধান্য দিয়ে পরিবারের সঙ্গে কাজ করার আবহে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন অনেকে। মহামারীর প্রকোপ কমার সঙ্গে সঙ্গে ফের চেনা অফিসে এসে কাজ করার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছিলেন অনেকেই। কিন্তু অনেকেই আবার মানসিকভাবে মানিয়ে নিতে সমস্যা বোধ করছেন। হ্যাঁ, এখনও।
এর মাঝেই গোটা বিশ্বজুড়ে মন্দার এক আবহ। বিভিন্ন আইটি সেক্টরে চলেছে যথেচ্ছ ছাঁটাই। এর মাঝেই অফিসগুলি খরচ কমাতে, কাজের গতি-ছন্দ বাড়াতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কর্মীদের ওয়ার্ক ফ্রম হোম বন্ধ করেছে। আর ওয়ার্ক ফ্রম হোম যখন বন্ধ হয়েছে, তখনই একাধিক সংস্থাতেই দেখা গিয়েছে একলাফে ইস্তফার বহর। সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি সমীক্ষা করা হয়, যেখানে উঠে আসে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ২৫ শতাংশই জানিয়েছিলেন, আর কখনও অফিসে ফিরতে না হলেই ভাল হত।
মেটা থেকে বাইজুস, ইনফোসিস থেকে স্পটিফাই, একাধিক সংস্থা থেকে গত বছর থেকেই শুরু হয়েছে গণ ছাঁটাই। বিশ্বজুড়ে আর্থিক মন্দাকে কারণ দেখিয়ে বিভিন্ন সংস্থা ছাঁটাই করেছিল।