অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: চা শ্রমিকদের লাইনে দাঁড় করিয়ে চলছে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। পাশে দাঁড়িয়ে আশ্বস্ত করছেন খোদ ‍বিডিও। পিপিই পরে, নিজেই স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য করছেন। আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকে চা শ্রমিকদের, করোনা নিয়ে সতর্ক করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা। বিডিও-র এই ভূমিকায়,মনোবল বাড়িয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে টেস্টের লাইনে দাঁড়ালেন বহু শ্রমিক। একইভাবে দুয়ারেও ভ্যাকসিন পৌছে দেবার আশ্বাস বিডিও-এর। অভাবনীয় উদ্যোগে খুশি সকলেই।


কালচিনি ব্লকে ২১টি চা বাগান। বিভিন্ন জনজাতির চা শ্রমিকের বসবাস এখানে। করোনা সংক্রমণ এখানেও থাবা বসিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। এই ব্লকে কোনও কোভিড হাসপাতাল নেই। রয়েছে ২টি সেফ হোম। আলিপুরদুয়ারের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য জেলার থেকে কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তা সত্ত্বেও কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না প্রশাসন। 


কোভিড মোকাবিলায় স্বস্তিদায়ক পরিসংখ্যান থাকলেও আরও কঠোর নজরদারি দিতে চাইছে ব্লক প্রশাসন। আর তাই স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নিয়েছেন কালচিনির ব্লক আধিকারিক প্রশান্ত বর্মন নিজেই। আজ স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে হাজির হন কালচিনি চা বাগানের আউট ডিভিশনে। সেই সময় শ্রমিকদের পাতা তোলার পর পাতার ওজন চলছিল। সেখানেই শুরু হয় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট। শ্রমিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ভয়ের কিছু নেই। এমনকি বাগান কর্তৃপক্ষকে ডেকে আক্রান্তদের সাহায্য করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি রিলিফ দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।


দার্জিলিং, জলপাইগুড়িতে প্রতিদিন যেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে, তাতে কিছুটা হলেও ভালো ছবি আলিপুরদুয়ারে।  গত ৪ দিনে করোনায় জেলার একজনেরও মৃত্যু হয়নি। মোট মৃত্যু ১০০ ছাড়ায়নি। জেলায় মোট সংক্রমণও ১০ হাজারের নিচে।


ব্লক আধিকারিকের এই উদ্যোগ শুধু শ্রমিকদের মধ্যেই যে আত্মবিশাস বাড়িয়েছে তা নয়,  আপ্লুত বাগান কর্তৃপক্ষও। একইভাবে দুয়ারেও ভ্যাকসিন পৌছে দেবার ব্লক আধিকারিকের ভ্যাকসিন ঘোষণায় সংক্রমণ অনেকটাই কমবে বলে আশাবাদী বাগান কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনেও এই কর্মসূচি চলবে।