হায়দরাবাদ: আপৎকালীন পরিস্থিতিতে (Emergency situation) পুলিশের দ্বারস্থ হতে গেলে ফোনে ১০০ নম্বর ডায়াল করার কথা মোটামুটি সকলেরই জানা। এমার্জেন্সি ফোন পেয়ে পুলিশও তড়িঘড়ি সাহায্যের চেষ্টা করেন। কিন্তু ১০০ ডায়াল করে অভিযোগ জানিয়ে নিজেই শ্রীঘরে ঢুকেছেন, এমন ঘটনা শুনেছেন কখনও? তেলঙ্গানার (Telangana) নালগোন্ডা জেলার (Nalgonda district) চের্লা গৌড়ারাম গ্রামে (Cherla Gowraram village)। কিন্তু কী হয়েছিল? এমন সিদ্ধান্ত কেন নিলেন পুলিশ? ঘটনা বিস্তারিত জানলে চোখ কপালে উঠবে।


হোলির (Holi) দিনের ঘটনা। স্ত্রীর কাছে পাঁঠার মাংস খেতে চেয়েছিলেন। আর তা না পেয়ে স্ত্রীয়ের নামেই অভিযোগ জানাতে ১০০ ডায়াল করেন নবীন (Naveen)। একবার, দুবার নয়, পরপর ছয় বার ফোন করেন তিনি। ব্যস! তার পরেই স্বামীর স্থান হয়েছে গরাদের পিছনে। 


শুক্রবার রাতে ফোন তুলে ১০০ ডায়াল করে স্ত্রীর নামে অভিযোগ জানান নবীন। জানা যাচ্ছে সেই সময়ে মত্ত অবস্থায় ছিলেন তিনি। নবীনের স্ত্রী হোলির দিনে মটন রান্না করতে অস্বীকার করায় বেশ ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি। তাই অভিযোগ জানাতে ফোন করেন পুলিশে। প্রথমে 'প্র্যাঙ্ক কল' ভেবে এড়িয়ে যান পুলিশ। কিন্তু নবীন তো তখন নাছোড়। সে পরপর ফোন করতেই থাকে। অবশেষে বাধ্য হয়ে দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপর তিনিই নবীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।


ফোন কলের মাধ্যমে ওই ব্যক্তির খোঁজ চালানো হয়। পরের দিন সকালে কয়েকজন পুলিশ অফিসার তার বাড়ি পৌঁছন এবং নবীনকে জেল হেফাজতে নেন। পুলিশের এক কর্মকর্তার কথায় ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ২৯০ ধারা এবং ৫১০ ধারার অধীনে মামলা করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: Viral Video: 'বিশ্বের টুকরো নয়, শান্তি চাই', রাশিয়া-ইউক্রেন সঙ্কটের প্রতিবাদে একরত্তির বার্তা ভাইরাল


শুক্রবার রাতে নবীন মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন। সঙ্গে করে পাঁঠার মাংস নিয়ে এসেছিলেন। ইচ্ছে ছিল স্ত্রী সেটি রান্না করে দেবেন। কিন্তু স্বামীর বদভ্যাসে বিরক্ত স্ত্রী রান্নার 'আদেশ' পালন করতে অস্বীকার করেন। তখনই রেগে গিয়ে পুলিশে ফোন করেন ওই ব্যক্তি।


এই ঘটনার পর জনসাধারণের উদ্দেশে পুলিশের আবেদন, তারা যাতে ১০০ নম্বরের অপব্যবহার না করেন। কারণ এই সমস্ত কারণে পুলিশের মূল্যবাণ সময় তো নষ্ট হয়ই সেই সঙ্গে সত্যি জরুরি ফোনও এড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।