নয়াদিল্লি: গত ফেব্রুয়ারিতে উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসায় জড়িত থাকার অভিযোগে টানা ১১ ঘণ্টা জেরার পর রবিবার গভীর রাতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) প্রাক্তন ছাত্র তথা ইউনাইটেড এগেইন্সট হেট সংগঠনের সদস্য উমর খালিদকে দিল্লি পুলিশের বেআইনি কার্যকলাপ রোধ আইনে (ইউএপিএ) গ্রেফতারির পর আসরে বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র। বিতর্কিত মিশ্র দিল্লি পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, খালিদ, তাহির হুসেন ও খালিদ সঈফির মতো লোকজন ‘পরিকল্পিত গণহত্যা’ ঘটিয়েছে, তাই ‘এইসব সন্ত্রাসবাদী, ঘাতকদের’ অবশ্য়ই ফাঁসি হওয়া চাই।


প্রসঙ্গত, দিল্লি দাঙ্গার ‘মাস্টারমাইন্ড’ ও ‘চক্রী’ হিসাবে দেখিয়ে খালিদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক চার্জশিটে। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের প্রথম তলব পেয়ে আগস্টে কলকাতা থেকে দিল্লি আসেন তিনি। কপিল নিজের ট্যুইটার হ্য়ান্ডলে আপলোড করা এক ভিডিওতে দাবি করেন, দিল্লিতে ব্যাপক সংখ্যায় লোকজন নিধনের লক্ষ্যে সংগঠিত গণহত্যার ছক কষা হয়েছিল, তাতে সাফুরা জারগার, সঈফিরও নাম করে তাঁদের যোগসাজশের অভিযোগও তোলেন মিশ্র। রাজধানীর বুকে গত ফেব্রুয়ারি হিংসাকে ২৬/১১-র মুম্বই হামলার মতোই ভয়াবহ আখ্যাও দেন।
দিল্লির দাঙ্গা, হিংসার পিছনে বেশ কয়েক মাসের পরিকল্পনা ছিল যার জেরে লোক মরেছে, বাড়িঘর জ্বলেছে বলেও দাবি করেন মিশ্র। বলেন, এইসব অভিযুক্ত, গ্রেফতার হওয়া সন্ত্রাসবাদীদের অবশ্যই নিকেশ করা বা সারা জীবনের জন্য জেলে পাঠানো উচিত, যাতে দিল্লিবাসী যে ন্য়ায়বিচারের অপেক্ষা করছেন, সেটা পান।
দিল্লি পুলিশ উত্তরপূর্ব দিল্লির হিংসায় দায়ের হওয়া এফআইআরে ইউএপিএ যুক্ত করেছে, যাতে অন্যদের মধ্যে খালিদের নাম রয়েছে। দিল্লি পুলিশ সাম্প্রদায়িক হিংসাকে ‘আগাম রচনা করা চক্রান্ত’ আখ্য়া দিয়েছে, যার পিছনে খালিদ ও আরও দুজনের হাত থাকার অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এফআইআরে দাবি করা হয়েছে, খালিদ দুটি পৃথক জায়গায় প্ররোচনামূলক ভাষণ দিয়েছিলেন, ভারতে সংখ্যালঘুরা কীভাবে নির্যাতিত হন, তা আন্তর্জাতিক স্তরে প্রচার করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফরের সময় জনসাধারণকে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসে রাস্তা অবরোধও করতে বলেন।