কলকাতা: করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন সাংবাদিক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।


গতকাল ট্যুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ। বাংলার অন্যতম সেরা টেলিভিশন সঞ্চালক অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। সাম্প্রতিক সময়ে যাঁরা বাংলার নির্বাচনে যুক্ত থেকেছেন তাঁদের অনেককেই আমরা হারিয়েছি। তাঁর পরিবার ও সহকর্মীদের সমবেদনা জানানোর কোনও ভাষা নেই। তাঁর মা. স্ত্রী অদিতি, একমাত্র মেয়ে তিতলি এবং তাঁর বড় দাদা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি রাজ্যের মুখ্য সচিব।




শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি লেখেন, অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যতে বাকরুদ্ধ এবং শোকস্তব্ধ। কম বয়সে একজন মানুষকে হারলাম, নিয়তির নির্মম পরিহাস। সাংবাদিকতায় তিনি ছাপ ফেলে গিয়েছেন। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।



 


গত ১৪ এপ্রিল ট্যুইট করে নিজেই করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। গতকাল শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কিছুদিন আগেই ভর্তি হন হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯টা ২৫-এ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর। তাঁর মৃত্যুতে সাংবাদিক মহলে শোকের ছায়া।


হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রবিবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গত ১৪ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন তিনি। এরপর সেরেও উঠেছিলেন। হাসপাতাল থেকে ফিরেও এসেছিলেন বাড়িতে। কিন্তু ফের জ্বর আসতে শুরু করে। জ্বর না কমায় তাঁকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে ভেন্টিলেশন এবং পরে একমো সাপোর্ট দেওয়া হয়। রবিবার রাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। হাসপাতালে ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত হয়েছেন। 


দীর্ঘ ৩৩ বছরের সাংবাদিক জীবনের অবসান। প্রেসিডেন্সি থেকে স্নাতক হন। স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট ছিলেন তিনি। মাঝখানে ২৪ ঘণ্টা নিউজ চ্যানেল ছেড়ে আনন্দবাজার পত্রিকার ডিজিটালের দায়িত্ব নেন। এরপর গত বছর ফের তিনি জি ২৪ ঘণ্টা চ্যানেলের দায়িত্বে ফেরেন।