লাক্ষাদ্বীপ : প্রায় একবছর আগে ভারতে প্রথম করোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃত্যু সংখ্যাও। কিন্তু এতদিন পর্যন্ত কোভিড মুক্ত ছিল একমাত্র লাক্ষাদ্বীপ। ভারতের সব রাজ্য় এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে শুধু লাক্ষাদ্বীপে করোনা থাবা বসাতে পারেনি। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না। মারণ ভাইরাসের হদিশ মিলল সেখানেও। সোমবার প্রথম করোনা সংক্রমণের খবর মিলেছে লাক্ষাদ্বীপে।

জানা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত ওই ব্যাক্তি ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়নে কর্মরত। গত ৩ জানুয়ারি কোচি থেকে জাহজে ফেরেন তিনি। সোমবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। যদিও ওই দ্বীপাঞ্চলের বাসিন্দা নন তিনি।

কোচি থেকে যারা ফিরেছেন তাঁদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে সরকার। যারা কোচি থেকে ফিরছেন তাদের বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে বলে জানানো হয়। কিন্তু এত সাবধানতা অবলম্বন করার পরেও আক্রান্তে র হদিশ পাওয়া গেল। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাঁদের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাঁর সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাঁদের নমুনা পরীক্ষায় করানো হয়েছে। জাহাজ সহ দ্বীপের মধ্যে যাতাযাত করার সব পথ বন্ধ করেছে সরকার। মূল ভূখন্ড থেকে দ্বীপাঞ্চলে যাওয়ার জন্য করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। দ্বীপাঞ্চলে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে করাতে হবে এই পরীক্ষা।

দেশে করোনায় কমল দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণ। সেইসঙ্গে কমেছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাও। দেশে এখনও পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৪১৯ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ৫ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৭৩। এরই মধ্যে করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ১ কোটি ২ লক্ষ ১১ হাজার ৩৪২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে জনের। গতকাল দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪৫। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা হাজার জন। গতকাল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৭৮৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সূস্থ হয়েছেন হাজার জন। গতকাল একদিনে সুস্থতার সংখ্যা ছিল ১৪ হাজার ৪৫৭ জন। দেশে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ। সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।