কলকাতা: দুপুর থেকে টানা সওয়াল জবাব, অন্য রাজ্যে মামলা সরানোর আর্জির শুনানি আজকের মতো শেষ। আইনজীবীরা জানিয়েছেন, আপাতত জামিনের স্থগিতাদেশ বহাল থাকছে। আগামিকাল দুপুর ২টোয় ফের শুনানি। কাল পর্যন্ত আপাতত জেল হেফাজতেই থাকতে হবে ৪ হেভিওয়েটকে। আজ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। চার জনের জামিনের পাশাপাশি নারদ মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করা হবে কি না, তা নিয়েও শুনানি হয়েছে।
এদিন শুরুতেই অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যান্যরাও বিচারপতিরাও প্রতিটি পার্টির উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন করে। অতিমারীর সময়ে এই চার নেতা-মন্ত্রীকে আটকে রাখার কী প্রয়োজন তাও জানতে চাওয়া হয় সিবিআইয়ের থেকে।
প্রসঙ্গত, আজ দুপুর ২টোয় কলকাতা হাইকোর্টে শুরু হয়েছিল রাজ্যের ৪ জন হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীর জামিনের আবেদন পুনর্বিবেচনার মামলা। আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে মামলার শুনানি। আদলতে সওয়াল-জবাব করেন অভিযুক্ত এবং সিবিআইয়ের আইনজীবীরা।
এদিন দিনভর চলল সওয়াল-জবাব। "যখন মামলার শুনানি চলছে তখন আইনমন্ত্রী কেন গেছেন?" এদিন অভিষেক মনু সিঙ্ঘিভিকে প্রশ্ন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। "এই মহামারীর সময় আদালত পর্যন্ত বলেছে গুরুতর অপরাধ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার না করতে। আর সিবিআই এভাবে গ্রেফতার করছে।" আদালতে সওয়াল করেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি। "সলমান খান, সঞ্জয় দত্তের মামলাও আদালতে হয়েছে। তাঁরা হেভিওয়েট বলে তো আদালত প্রভাবিত হয়নি।" আদালতে সওয়াল অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির। "মন্ত্রী আদালত কক্ষে ছিলেন না।" আদালতে জবাব দেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাহলে কি অন্য রাজ্যে সরছে নারদ মামলা? বুধবার রায় মেলেনি। আগামী শুনানি বৃহস্পতি বার, তারপরই আদালত রায় দিয়ে জানাবে, নারদ মামলা অন্য রাজ্যে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কি না।
আজ কোনও নির্দেশ না দিয়ে প্রধান বিচারপতি আজকের মতো শুনানি শেষ করেন। গত সোমবার নারদ মামলায় গ্রেফতার করা হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে। এরপর দিনভর একের পর এক নাটকীয় মোড়।
সোমবার রাজ্যের চার নেতাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। এরপর সেখানে চলে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় ৬ ঘণ্টা সেখানে ছিলেন তিনি। সন্ধে ৭টা নাগাদ জামিনও মেলে নিম্ন আদালত থেকে। তবে কিন ঘণ্টার মধ্যেই সেই জামিনে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরপর বুধবার শুনানির দিন ঘোষণা করে ওই ৪ হেভিওয়েটকে প্রেসিডেন্সি জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।