সঞ্চয়ন মিত্র ও অর্ণব মুখোপাধ্যায়, অযোধ্যা: প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষ। সেজে উঠেছে রামের জন্মভূমি। আজ থেকেই সাধারণের জন্য বন্ধ রামলালার দর্শন। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পর খুলবে মন্দির। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে মন্দির ও এলাকার। অভিযোগ, তারই মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে অনলাইন প্রতারণা চক্র। কড়া পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে শাস্ত্রীয় আচার মেনে হয় বিশেষ পুজো। সরযূর জলে শোধন করা হয় মন্দিরের গর্ভগৃহ। তৈরি রাজসূয় যজ্ঞের জন্য ১ হাজার ৮টি কুণ্ড।
শুক্রবারই হয়েছে নেত্রমেলন: ২ দিনের মাথায় হবে ‘প্রাণপ্রতিষ্ঠা’। সোমবার অযোধ্যায় (Ayadhya) রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। প্রস্তুতি পর্ব প্রায় শেষ। সেজে উঠেছে রামের জন্মভূমি। রং-বেরঙের ফুলে ঢাকা পড়েছে অযোধ্যা শহর। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ফুল দিয়ে তৈরি করা হয়েছে হাতি, ধনুক-সহ বিভিন্ন মূর্তি।
শাস্ত্রীয় আচার মেনে বিশেষ পুজো: রামলালার মূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠার আগে শাস্ত্রীয় আচার মেনে হয় বিশেষ পুজো। পাশাপাশি, এদিন সরযূর জলে রাম জন্মভূমি মন্দিরের গর্ভগৃহ শোধন করা হয়। পালন করা হয় বাস্তু শান্তি ও অন্নধিবাস আচার বিধি। রাম মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বারের উল্টোদিকে, কিছুদূর গেলেই রাম জন্মভূমির কর্মশালা। তার কাছেই রয়েছে যজ্ঞশালা। রামলালার বিগ্রহে প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য এখানেই রাজসূয় যজ্ঞের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তৈরি হয়েছে ১ হাজার ৮টি যজ্ঞকুণ্ড: অযোধ্যার যজ্ঞশালার পাশেই চলছে লাইভ পেন্টিং। যেখানে রয়েছেন পাঁচ বাঙালি শিল্পী। জায়গায় জায়গায় চলছে রামলীলা। ওড়িশার বেরহামপুরের বাসিন্দা ২১ বছরের বিজয়কুমার রেড্ডি। চক দিয়ে তৈরি করেছেন রামের মিনিয়েচার বা ক্ষুদ্রাবয়ব। যার উচ্চতা মাত্র ৩ সেন্টিমিটার। স্বচ্ছতা অভিযান নিয়ে আড়াই সেন্টিমিটার লম্বা প্রধানমন্ত্রীর মিনিয়েচার গড়েছেন ওড়িশার এই তরুণ চক-শিল্পী। পরিচ্ছন্নতা বোধ ও নাগরিক চেতনার প্রসার ঘটাতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দিরে মন্দিরে এ ধরনের মিনিয়েচার রাখতে চান বিজয়। তাঁর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শংসাপত্র পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও উপ রাষ্ট্রপতি।
২৪০০ কেজি ঘণ্টার পর এবার ৪০০ কেজির তালা। হায়দরাবাদ থেকে এসেছে ১২৬৫ কেজি ওজনের একটি দৈত্যাকার লাড্ডু। রাম মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে ঘটনার ঘনঘটা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের পর বিলি করা হবে ১ হাজার ১১১ মণ প্রসাদী লাড্ডু।
রামমন্দির উদ্বোধনের আগে অযোধ্যা শহরকে সাজানোর পাশাপাশি, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকেও দেওয়া হয়েছে নজর। অযোধ্যা শহরকে ঝকঝকে তকতকে করে রাখতে তৎপর প্রশাসন। ঘন ঘন রাস্তা সাফাইয়ের কাজ চলছে। এমনকী, ওয়াটার জেট দিয়ে ধুয়ে সাফ-সুতরো করা হচ্ছে গাছের পাতা। এদিন লতা মঙ্গেশকর চকে সুরে-ছন্দে মাতিয়ে রাখে উত্তরপ্রদেশের বরাবাঁকি পুলিশ ব্যান্ড।