নয়া দিল্লি: বড়সড় জঙ্গি হামলার ছক বানচাল হল। ৩ চিকিৎসক-সহ ৮জন গ্রেফতার। অনন্তনাগে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আদিলের লকারে জোড়া AK 47। অনন্তনাগেরই চিকিৎসক মুজাহিল শাকিলের ফরিদাবাদের বাড়িতে বিস্ফোরক। দিল্লির কাছে ফরিদাবাদে চিকিৎসক মুজাম্মিলের বাড়িতে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশ ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ অভিযান চালায়। জঙ্গি-যোগে ধৃত ৮ জনের মধ্যে ৭ জনই কাশ্মীরের। জইশ ই মহম্মদ, আনসার ঘজওয়াত-উল-হিন্দের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের সময় ডাঃ আদিল এবং ডাঃ মুজাম্মিল পুলিশকে বলেছেন যে তাদের এই কাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল কারণ তাদের ধারণা ছিল "দিল্লি এনসিআর-এ কেউ ডাক্তারদের সন্দেহ করবে না"। ডাক্তারদের তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল।
উত্তরপ্রদেশের চিকিৎসক আদিল ও হরিয়ানার চিকিৎসক মুজাম্মিল গ্রেফতার হয়েছে। জইশ ই মহম্মদ ও আনসার গজবাতুল হিন্দের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ। আইইডি তৈরির জন্য ২৯০০ কিলো সামগ্রী সহ বাজেয়াপ্ত বিস্ফোরক, কেমিক্যাল।
সংবাদসংস্থা এনডিটিভিতে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ষড়যন্ত্রটি পাকিস্তানে বসেই তৈরি হয়েছিল বলে খবর। কাশ্মীরে থাকা ব্যক্তিদের মাধ্যমে নির্দেশ আসে এই চিকিৎসকদের কাছে। পুলিশ জানিয়েছে যে এই সন্ত্রাসী মডিউলটি একযোগেই এক কাজ করছিল। চিকিৎসকদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা যায় যে দিল্লি এনসিআর-এ সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করাও পরিকল্পনার অংশ ছিল, সূত্র জানিয়েছে, লক্ষ্যবস্তু এনসিআর-এর যেকোনো জায়গা হতে পারে।
ওই প্রতিবেদন থেকে এও জানা যায়, চিকিৎসকরা ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে কাশ্মীরে আহত জঙ্গিদেরও চিকিৎসা করেছিল। সূত্র জানায়, ইরফান আহমেদ, একজন ধর্মগুরু এবং একটি মসজিদের ইমাম, এই ডাক্তারদের মৌলবাদে রূপান্তরের পেছনের মূল হোতা বলে অভিযুক্ত। এই ধর্মগুরু ২০১৯ সালে এক এনকাউন্টারে নিহত মোস্ট-ওয়ান্টেড সন্ত্রাসী জাকির মুসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
দুই চিকিৎসক গত মাসে নওগামে জইশ-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর কথাও স্বীকার করেছেন। মুজাম্মিলের সহকর্মী, ডাঃ শাহীন শহীদ, যার গাড়ি ফরিদাবাদে অস্ত্র লুকানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল, তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই সন্ত্রাসী মডিউলটি কী পরিকল্পনা করছিল তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পুলিশ খতিয়ে দেখছে। রাজধানীর এত কাছে এত বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের ঘটনা নিরাপত্তা নিয়ে প্রুশ্ন উঠেছিল। আর এরই মধ্যে লালকেল্লায় বিরাট বিস্ফোরণ ঘটল।
দিল্লিতে লালকেল্লার কাছে জোরাল বিস্ফোরণের নেপথ্য়ে কি পাকিস্তানের জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ ই মহম্মদ? প্রশ্নটা উঠছে কারণ--- সোমবার এই বিস্ফোরণের কয়েকঘণ্টা আগে দিল্লির অদূরে ফরিদাবাদ থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক। আর এই বিস্ফোরকের হদিশ মেলে শ্রীনগরে জইশের সমর্থনে পোস্টার দেওযার অভিযোগে ধৃত এক চিকিৎসককে জেরা করে। তাহলে কি দিল্লির বিস্ফোরণের নেপথ্য়ে জইশের হাত?