নয়াদিল্লি: উদ্বেগ বাড়িয়ে এবার ভারতে মিলল  করেনাভাইরাসের স্ট্রেন। প্রাথমিকভাবে যে স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল ব্রিটেনে। আইসিএমআর সূত্রে খবর, বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ এন্ড নিউরোসায়েন্সে ৩টি, হায়দরাবাদের সেন্টার ফর সেলুলার এন্ড মলিকিউলার বায়োলজিতে ২টি, পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে ১টি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে আক্রান্ত ৬ জন ব্রিটেন থেকে ভারতে ফিরেছেন।

সূত্রের খবর, প্রত্যেককে আলাদাভাবে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর যাবতীয় ব্যবস্থা করেছে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার। আক্রান্তদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সরকার জানিয়েছে, আক্রান্তদের সহযাত্রী, পরিবার সহ বাকিদের খোঁজ শুরু করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ২৫ নভেম্বর থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ব্রিটেন থেকে প্রায় ৩৩ হাজার যাত্রী ভারতে এসেছেন। তার মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। যারা ইতিমধ্যে ভারতে এসেছেন তাঁদের আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। ব্রিটেনে ভাইরাসের নতুন স্ট্রেন পাওয়া এই খবর সামনে আসার পরেই সেদেশ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে ভারত। করেনাভাইরাসের বিপজ্জনক নমুনা থেকে সংক্রমণ রুখতে নয়া গাইডলাইন জারি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত কড়া বিধি মানতে বলেছে কেন্দ্র। কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া সত্বেও মিলল নমুনা।

চলতি মাসেই ভাইরাসের নতুন স্ট্রেনের হদিশ পাওয়া যায় ব্রিটেনে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নতুন ধারা করোনা ছড়াতে পারে খুবই দ্রুত হারে। ভাইরাসের অন্য প্রজাতির তুলনায়, এই ৭০ শতাংশ ক্ষতিকর। আর তাতে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে লন্ডনে। আক্রমণাত্মক হলেও এই স্ট্রেনের মৃত্যু হার বাড়বে কি না তা নিয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে একাধিক দেশ। এই তালিকায় ভারত সহ আছে বেলজিয়াম, ইতালি, জার্মানি, নেদারল্যান্ডের মতো দেশ। তবে শুধু ব্রিটেন নয়, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও মিলেছে করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেন।