জেনিভা: করোনাভাইরাস এইডসের মত হতে পারে। অর্থাৎ আর সে যাবে না, তাকে নিয়েই ঘর করতে হবে আমাদের। হুঁশিয়ারি দিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ঠিক কতদিন এই জীবাণু থাকবে তা নিয়ে যে পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা চলছে তা বন্ধ করার আবেদন করেছে তারা। বলেছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়তে গেলে বিরাট প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরফে হু-র জরুরি অবস্থা বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান বলেছেন, করোনা সম্ভবত আরও একটি অতিমারী জীবাণু যা সম্ভবত আর যাবে না। তাই বাস্তবাদী হওয়া উচিত, কবে এই জীবাণু যেতে পারে তা কারও পক্ষে বলা সম্ভব নয়। হয়তো এই রোগ বিরাট এক সমস্যা হিসেবে আমাদের মধ্যে থেকে যাবে, আবার এমনও হতে পারে, চলে গেল। পৃথিবী কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এনেছে এই রোগকে তবে এখনও বিরাট যুদ্ধ সামনে, এমনকী টিকা বেরিয়ে গেলেও।
করোনা নিয়ে ১০০-র বেশি টিকা বেরিয়েছে, কয়েকটির চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষাও শুরু করেছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার বিরুদ্ধে প্রকৃত অর্থেই কার্যকরী টিকা উদ্ভাবনের ধারেকাছে এখনও পৌঁছতে পারেননি তাঁরা। অসুখের ঝুঁকি কমাতে করোনা জীবাণুর ওপর পৃথিবীর প্রকৃত অর্থে নিয়ন্ত্রণ আসতে হবে, রায়ান বলেছেন। তাঁর মতে, আঞ্চলিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক- তিন স্তরেই করোনার ঝুঁকি এখনও অত্যন্ত বেশি।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াই জারি রেখেই অর্থনীতি চালু করার পথ খুঁজছে সব কটি দেশ। ইউরোপীয় ইউনিয়ন করোনা আক্রান্ত এলাকাগুলি হিসেবের বাইরে রেখে সীমান্ত খুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে, যাতে গ্রীষ্মকালীন পর্যটন পুরোপুরি বন্ধ না হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিমারী যাতে না ছড়ায় তাই সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাবধানতা নেওয়া জরুরি। যদিও রায়ানের মতে, স্থল সীমান্ত খুলে দেওয়া বিমান চলাচল চালু করার থেকে কম ঝুঁকিপূর্ণ।
করোনায় এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ, মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ।