নয়াদিল্লি:  সোস্যাল মিডিয়ায় ইসলামোফোবিয়া বা ইসলাম-ভীতি ছড়ানো ঘিরে বিতর্কের মধ্যেই নাম না করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রকে হুঁশিয়ারি দিলেন জাকির হুসেন। ফেসবুক পোস্টে যারা আল্লাহর দূতের অবমাননা, গালিগালাজ করে, তারা যন্ত্রণাময় শাস্তি পায় বলে কোরান থেকে উদ্ধৃত দেন তিনি। তাদের মারাত্মক পরিণতি হয় বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসলামি ধর্মপ্রচারক।

ফ্রান্স সম্প্রতি অশান্ত হয়ে উঠেছে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশের ইস্যুতে স্কুলশিক্ষককে গলা কেটে হত্যা ও তার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে। মহম্মদের কার্টুন প্রকাশের অধিকারের সমর্থনে সওয়াল, কট্টরপন্থী ইসলামের সমালোচনা করে গোটা মুসলিম দুনিয়ার বিরাগভাজন হয়েছেন ম্যাক্রঁ। মুসলিম দেশগুলি ফরাসি পণ্য বয়কটের ডাক দিয়েছে।



আরেকটি ফেসবুক পোস্টেও তিনি বলেন, আক্রমণাত্মক বক্তব্য সমর্থন করলে তা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা জোরদার করায় কোনও সাহায্যই করে না। আঘাত করার অধিকার থাকা মানে আঘাত করা কর্তব্য , এটা বোঝায় না।

মাইকেল পেটি নামে ফরাসি স্কুল শিক্ষক ক্লাসে অবাধ মতপ্রকাশের অধিকার নিয়ে পড়ানোর সময় মহম্মদের ব্যঙ্গচিত্র দেখান। এজন্য প্যারিস শহরতলির স্কুলের বাইরে তাঁর গলা কেটে দেয় এক চেচেন বংশোদ্ভূত যুবক। এর কঠোর নিন্দা করে ম্য়াক্রঁ কট্টরপন্থীরা ইসলামিরা আমাদের ভবিষ্যত্ শেষ করে দিতে চায় বলে অভিযোগ করেন। জাকির এজন্য কোরানের আয়াত উল্লেখ করে ফেসবুক পোস্টে লেখেন, আল্লাহের দাসের গালিগালাজের ভয়ঙ্কর শাস্তি মিলবে। বাস্তবে যারা আল্লাহ ও তার প্রতিনিধির গালিগালাজ করে, আল্লাহ এই জীবনে ও তারপরও তাকে অভিশাপ দেন, তার জন্য অপমানজনক সাজার ব্যবস্থা করেন। এর আগে গত ২৮ আগস্টের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, আল্লাহর দূতকে গালাগাল দেওয়া লোকজনকে ভয়াবহ সাজা পেতে হবে।

জাকির এর আগেও কয়েকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। কিছুদিন আগেই তিনি মন্তব্য করেন, মহম্মদের সমালোচনা করা অ-মুসলিমদের মুসলিম দেশের জেলে পোরা উচিত। মহম্মদকে আক্রমণ করা অধিকাংশই বিজেপির লোক বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ভবিষ্যতে এই অ-মুসলিম লোকজন উপসাগরীয় দুনিয়ায় বিশেষ করে কুয়েত, সৌদি আরব বা ইন্দোনেশিয়া সফরে গেলে খতিয়ে দেখা উচিত, তাঁরা ইসলাম বা মহম্মদ সম্পর্কে অশালীন, আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন কিনা, করে থাকলে তাদের কারাগারে ঢুকিয়ে দেওয়া উচিত। এছাড়া, বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বসবাস করা জাকির ফরাসি সামগ্রী বয়কটেরও ডাক দিয়েছেন।