নয়াদিল্লি: কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের যারা সমর্থন করে, তারাই শাহিনবাগের জমায়েতে বসে আছে, আজাদি স্লোগান দিচ্ছে। যেদিন শাহিনবাগে গুলি চলল, সেদিনই দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে বললেন যোগী আদিত্যনাথ। দিল্লির বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাওয়া উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দিল্লির অরবিন্দ কেজরিবাল সরকার শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের ‘বিরিয়ানি সাপ্লাই’ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন।
১৫ ডিসেম্বর থেকে শাহিনবাগে মহিলারা বাচ্চা, ঘরের ছেলেমেয়েদের সঙ্গে নিয়ে সিএএ-কে সংখ্যালঘু বিরোধী আখ্যা দিয়ে রাস্তায় বসে তার প্রত্যাহারের দাবি করছেন। প্রস্তাবিত নাগরিকপঞ্জীর (এনআরসি) বিরুদ্ধেও তাঁরা সরব।
পূর্ব দিল্লির কারওয়াল নগর চকে নির্বাচনী সমাবেশে বিজেপি নেতা আদিত্য়নাথ সিএএ-বিরোধী প্রতিবাদীদের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ওদের পূর্বসূরীরা ভারতকে টুকরো করেছিল, তাই ওদের উদীয়মান ‘এক ভারত শ্রেষ্ঠ ভারত’ কর্মসূচির বিরুদ্ধে এত রাগ। আদিত্য়নাথের দাবি, দিল্লির নানা জায়গায় এইসব প্রতিবাদ, বিক্ষোভ সিএএ-র ব্য়াপারে নয়, এর কারণ কেন ভারত বিশ্বে বড় শক্তি হয়ে উঠছে, সেই প্রশ্ন তুলে ভারতের উত্থান থামিয়ে দিতে চাইছে ওরা।
দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ বিজেপি নেতারা শাহিনবাগের সিএএ-বিরোধী অবস্থানের প্রতি বিরোধিতা জানাতে তাঁদের দলের পক্ষে ভোট দেওয়ার ডাক দিয়েছেন।


এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অবশ্য জানান, কেন্দ্র শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সিএএ সম্পর্কে তাদের কোনও ভুল ধারণা, বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করতে তৈরি। এই প্রথম কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহিনবাগের অবস্থানকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইঙ্গিত দিলেন। তবে তিনি শর্ত দিয়েছেন, আলোচনা অবশ্যই হতে হবে নির্দিষ্ট কাঠামো মেনে। তিনি একটি টিভি চ্যানেলে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন, এমন একটি ভিডিও ট্যুইট করেছেন তিনি।

গতকাল আবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ বিরোধীদের নিশানা করে দাবি করেন, তারা সিএএ নিয়ে মুসলিমদের মনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। ভোট পেতে তাদের মন বিষিয়ে দিচ্ছে। কোনও সাচ্চা মুসলিম ভাইয়ের দিকে, তাঁর সদুদ্দেশ্য নিয়ে কোনও আঙুল তোলা উচিত নয় বলে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২৪ ক্য়ারেটের সোনা। তাঁর উদ্দেশ্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ ঠিক নয়। তাঁর সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ মন্ত্রে চলে বলেও জানান রাজনাথ।