এদিন মুকেশের একটি আবেদন খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সে শীর্ষ আদালতে বলেছিল, তার আগের আইনজীবীরা তাকে বিপথে চালিয়েছে। তাই সে চাইছে, তার যেসব আইনি সুরাহা পাওয়ার পথ আছে, সব জিইয়ে তোলা অর্থাত্ তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। বিভিন্ন আদালতের আগের দেওয়া সব নির্দেশ, তার প্রাণভিক্ষার পিটিশন যে রাষ্ট্রপতি খারিজ করেছেন, সব খারিজ করা হোক। তার আইনজীবী মনোহরলাল শর্মা বলেন, আদালতের পুরো প্রক্রিয়াই চালানো হয়েছে জালিয়াতির ভিত্তিতে। তার প্রাক্তন আইনজীবীর উচিত ছিল, কিউরেটিভ পিটিশন দায়ের করার জন্য অন্তত তিন বছর অপেক্ষা করা। কিন্তু শীর্ষ আদালত তার যুক্তি মানেনি, বিচারপতি অরুণ মিশ্রের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছে, এই মামলায় তার রিভিউ পিটিশন, কিউরেটিভ পিটিশন, দুটোই খারিজ হয়ে গিয়েছে, তাই তার এখনকার আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। প্রসঙ্গত, নির্ভয়া ধর্ষণকারীদের মৃত্যু পরোয়ানা এপর্যন্ত তিনবার স্থগিত হয়ে গিয়েছে তারা আইনি রক্ষাকবচগুলি একে একে প্রয়োগ করে গোটা প্রক্রিয়ায় দেরি করিয়ে দেওয়ায়।
নতুন করে মৃত্যু পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তিহার জেল কর্তৃপক্ষ উত্তরপ্রদেশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন পাঠায় ফাঁসির জন্য পবন জহ্লাদকে চেয়ে। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পবন এসে নকল ফাঁসির মহড়া দেবেন।
চার অপরাধীর মধ্যে মুকেশ, পবন ও বিনয় যার যার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করে ফেলেছে। কর্তৃপক্ষ অক্ষয়ের পরিবারকেও চিঠি দিয়েছে ফাঁসির আগে তার সঙ্গে তাদের শেষ সাক্ষাতের দিনক্ষণ স্থির করার ব্যাপারে। তাদের পরিবারের সঙ্গে নির্ধারিত সাপ্তাহিক বৈঠকও বন্ধ করা হয়নি।