জাঙ্গীপাড়া, সোমনাথ মিত্র : এবার দামোদর নদের জলে জলমগ্ন হল হুগলির জাঙ্গীপাড়া ব্লকের ৩টি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকা। সেই সঙ্গে তারকেশ্বর ব্লকের চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েতের বিনগ্ৰামে নদের চড়ের বেশ কিছুটা অংশ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে । দুটি ব্লকের চাষের জমি সহ একাধিক বাড়িতে ঢুকেছে দামোদরের জল। জল ঢুকেছে স্থানীয় একটি মন্দিরেও। প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু মানুষকে ত্রাণ শিবিরে এনে রাখা হয়েছে। দামোদরের জল ক্রমশ বাড়তে থাকায় চিন্তিত বাঁধ এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন।
জাঙ্গীপাড়া ব্লকের রসিদপুর, রাজবলহাট-১, রাজবলহাট-২ এই তিনটি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের ছিটঘোলা, হরিহরপুর, বকপোতা, আকনা, শ্যামপুর ও তারকেশ্বর ব্লকের বিনগ্ৰামের দামোদরের চড় এলাকা সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। নদের চড়ে কয়েকশো বিঘা চাষের জমি জলের তলায় চলে গেছে। পাট, বাদাম সহ সব্জির খেত জলের তলায় চলে যাওয়ায় হতাশ এখানকার মানুষজন। জাঙ্গীপাড়ায় দামোদরের বাঁধ এলকার বেশ কিছু বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। জলমগ্ন এলাকার বেশ কিছু মানুষ ছাদে তাঁবু খাটিয়ে থাকলেও, কাঁচাবাড়ির পরিবারের সদস্যদের প্রশাসনের তরফে ত্রাণ শিবিরে এনে রাখা হয়েছে।
জাঙ্গীপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তমাল শোভন চন্দ্র জানান, ব্লকের ৩টি গ্ৰাম পঞ্চায়েতের নদের বাঁধ এলাকা জলমগ্ন। এইসব এলাকার ফসলের পুরোটাই ক্ষতিগ্ৰস্ত হয়েছে। আকনা, শ্যামপুর, ছিটঘোলা ৩টি গ্ৰাম জলমগ্ন হয়েছে। তিনটি পঞ্চায়েতের ১৭টি মৌজার ১৫০০ মানুষ জলমগ্ন। প্রশাসনের তরফে ২টি ত্রাণ শিবিরে খোলা হয়েছে।
এদিকে বর্ষার শুরুতেই জল যন্ত্রণার ছবি ধরা পড়েছে হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকাতেও। দামোদরের বাঁধ উপছে ভোররাত থেকে জল ঢুকতে শুরু করেছে হরিহরপুর, মুচিপাড়া-সহ একাধিক গ্রামে। তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন জায়গায় জল থইথই রাস্তাঘাট, জল ঢুকেছে বাড়ি-দোকানপাটে। টিকিয়াপাড়া থেকে রামরাজাতলা, সালকিয়া, সাঁতরাগাছি- কোথাও জল কোমর ছুঁইছুঁই, কোথাও জল হাঁটু ছাড়িয়েছে। টানা চার-পাঁচদিন ধরে এই দুর্ভোগের শিকার হয়ে, ক্ষোভে ফুঁসছেন বাসিন্দারা।