মহারাষ্ট্র: পশুপাখিরা তাদের সঙ্গমের জন্য যোগ্য সঙ্গী ও সুযোগ্য পরিবেশের জন্য দূর দুরান্ত পর্যন্ত পাড়ি দেয়। অক্লান্ত পথ পরিক্রমের পরও সঙ্গীনীর সঙ্গে একান্ত সময় কাটাতে পাখি তো বটেই স্তন্যপায়ীদের জুড়ি মেলা ভার। বাঘ, সিংহ, চিতা এই প্রজাতির প্রাণীরা জৈবিক চাহিদার জন্য সুদীর্ঘ পথ অতিক্রম করে। দিনে বিশ্রাম নিয়ে রাতের পর রাত হেঁটে চলে। বন্যপ্রাণ নিয়ে যারা অল্পবিস্তরও চর্চা করেন, তাঁদের কাজে এই তথ্য অজানা নয়। বৃহস্পতিবার এমনই এক কামুক বাঘের সন্ধান দিলেন ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার (আইএফএস) প্রবীণ কাসওয়ান।
সঙ্গমের জন্য সঙ্গী চাই, বাঘিনী খুঁজতে ২০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম বাঘের! ইন্ডিয়ান ফরেস্ট অফিসার প্রবীণ কাসওয়ান পোস্টে ঘিরে ট্যুইটারে হাসির রোল। নেটিজেনদের মশকরা বাঘেদের জন্য খুলে দেওয়া হোক টিন্ডারের মতো ডেটিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট।
আইএফএস অফিসারের পোস্ট অনুযায়ী ওই বাঘ এখন মহারাষ্ট্রের অভয়ারণ্যে রয়েছে। তার আগে বাঘটি নদীনালা, জঙ্গল পেরিয়ে ২০০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। বাঘটি জনজীবনে কোনও ক্ষতি করেছে বলে কোনও খবর নেই। দিনে বিশ্রাম নিয়ে রাতের পর রাত হেঁটে যাচ্ছে স্রেফ যোগ্য সঙ্গীনীর খোঁজে। বাঘটির ওপর নজর রাখা হয়েছে।
তিনি আরও একটি পোস্টে লেখেন, ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বাঘটিকে রেডিও ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া হয়। যার ফলে বাঘটির চলাফেরা ও গন্তব্য নিয়ে যাবতীয় তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে। জিপিএস ট্র্যাকার ও ভিএইচএফ রেডিওয়ের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রবীণ কাসওয়ান।
তাঁর এই পোস্ট নিয়ে রসিকতায় মজেছে ট্যুইটার। কেউ বলছেন বাঘেরও টিন্ডার অ্যাকাউন্ট হওয়া উচিত! কারো প্রশ্ন কাঠখড় পুড়িয়ে আদৌ যোগ্য সঙ্গীনী কি পাওয়া গেল?