গুরুগ্রাম : কোভিডের মারণ কবল থেকে বাঁচতে দিতে হয়েছিল স্টেরয়েড। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ডায়াবেটিক হওয়ায় যে সময়েই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস আক্রান্ত হয়ে যান ৪২ বছরের পুষ্কর সরণ। যার পর তার বাঁ চোখ কার্যত অল্প সময়ের জন্য দৃষ্টিশক্তিহীন হয়ে পড়েছিল। চোখ লাল হয়ে শুরু করেছিল জল কাটতে। শক্ত-অসাড় হয়ে গিয়েছিল চোয়াল। একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হলেও ঠিক সময়ে ঠিক চিকিৎসার সুবাদে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের কবলমুক্ত গুরুগ্রামের বাসিন্দা পুষ্কর। সুস্থ হয়ে উঠে আক্রান্ত হওয়ার সময়ের কষ্ট ও সেটা কাটিয়ে ওঠার পথ সম্পর্কে জানিয়েছেন তিনি।


সংবাদসংস্থা এএনআইকে পুষ্কর জানিয়েছেন, 'কোভিড আক্রান্ত হওয়ার জেরে স্টেরয়েড নিতে হচ্ছিল যে সময়ই এটা হয়েছিল। তবে প্রাথমিক পর্বে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়ায় ও সঠিক চিকিৎসার জেরে সুস্থ হয়ে উঠেছি। সকলকে জানাতে চাই, আতঙ্কিত হবেন না। ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সেরে যায়। শুধু সবার জন্য একটাই পরামর্শ স্টেরয়েড নেওয়ার সময় ধরা পড়ে আমি ডায়াবেটিক। যার জেরেই সংক্রমিত হয়ে পড়েছিলাম। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া স্টেরয়েড নেওয়ার ঝুঁকি নেবেন না।'


ব্ল্যক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে ঠিক কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সেটাও জানিয়েছেন তিনি। পুষ্করের সংযোজন, 'বাঁ চোখে কার্যত কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না। চোখ দিয়ে সবসময় জল কাটত ও চোখ লাল হয়ে গিয়েছিল। দাঁত ও ওপরের চোয়ালে প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়, তাও কার্যত অসাড় হয়ে গিয়েছিল। এখনও অল্প অসাড় হয়ে আছে, তবে সেটা সমস্যা তৈরি করছে না। আমার অস্ত্রোপচারও হয়।'


এদিকে, ম্যাক্স স্পেশালিটি হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক সুমিত মৃগ জানিয়েছেন, ব্ল্যক ফাঙ্গাস আক্রান্ত প্রায় ২৫ জনের চিকিৎসা দেরীতে শুরু হওয়ায় তাদের দৃষ্টিশক্তি বাঁচাতে পারিনি আমরা। কোভিড আক্রান্ত কেউ স্টেরয়েড নিলেই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে, সেখানেই পুষ্করের ব্ল্যক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। যার পর দ্রুত চিকিৎসার সুবাদেই ওঁর দৃষ্টিশক্তি বাঁচানো গিয়েছে। আপাতত কার্যত সম্পূর্ণ সুস্থ ও। 


অকারণ আতঙ্কিত না হয়ে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ারই কথা বলা হয়েছে সরকারের তরফেও।