উন্নাও : কোভিড কার্ফুতে এক কিশোরের মৃত্যু ঘিরে অস্বস্তি বাড়ল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের। অভিযোগ, কার্ফু উপেক্ষা করে সব্জি বিক্রি করায় ১৭ বছরের ওই কিশোরকে বেধড়ক মারে পুলিশ। পরে যার জেরে মারা যায় ওই কিশোর। ঘটনার পরই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, কোভিড কার্ফুর সময় উন্নাওয়ের ভাটপুরি এলাকায় বাড়ির সামনেই সব্জি বিক্রি করছিল ওই কিশোর। করোনায় কার্ফু আইন ভাঙার জন্য তাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে পুলিশ। পরবর্তীকালে তাকে থানায় নিয়ে গিয়েও বেধড়ক মারধর করা হয়। যার জেরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে কিশোরের। পরে কমিউনিটি হেলথ সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হলে কিশোরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ডাক্তাররা।
কিশোরের মৃত্যুর খবর সামনে আসতেই লখনউ রোড অবরোধ করেন স্থানীয়রা। অবিলম্বে দোষী কনস্টেবলকে সাজার দাবিতে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। এমনকী মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ সরকারি চাকরির দাবি তোলেন বিক্ষোভকারীরা। বেগতিক দেখে বিবৃতি দিতে বাধ্য হয় উন্নাও পুলিশ। তারা জানায়, ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। আগামী দিনে সত্য জানতে ঘটনার তদন্ত হবে। এই ঘটনায় এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড ও হোমগার্ডকে বরখাস্ত করা হয়।
পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই ঘটনার পরই কনস্টেবল বিজয় চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বরখাস্ত করা হয়েছে হোমগার্ড সত্যপ্রকাশকে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজ্যে কোভিড সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে আগামী ২৪ মে পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে জারি থাকবে কার্ফু। সকাল সাতটা পর্যন্ত এই কোভিড কার্ফু জারি থাকার কথা।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে ইলাহবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে গ্রাম ও ছোট শহরে "রামের ভরসা"য় চলছে কোভিড চিকিৎসা। পরিকাঠামোর অভাবে ধুঁকছে রাজ্যবাসী। একই কথা শোনা গিয়েছে কংগেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর মুখেও। কদিন আগেই রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি শোধরাতে যোগী আদিত্যনাথকে পাঁচ পয়েন্টের পরামর্শ চিঠি দিয়েছেন তিনি।