তিরুমালা : তিরুমালা মন্দিরে শুধুমাত্র হিন্দুদেরই চাকরি হওয়া উচিত। শুক্রবার এমনই মন্তব্য করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু। তিনি বলেন, যদি অন্য কোনও সম্প্রদায়ের কেউ মন্দিরে কাজ করেন, তাঁদের আবেগকে আঘাত না করে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হবে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "তিরুমালা মন্দিরে শুধুমাত্র হিন্দুদের নিয়োগ করা উচিত। যদি অন্য ধর্মের ব্যক্তিরা বর্তমানে সেখানে কাজ করেন, তাহলে তাঁদের অনুভূতিতে আঘাত না দিয়ে অন্য জায়গায় স্থানান্তরিত করা হবে ।" এর পাশাপাশি দেশের সব রাজ্যের রাজধানীতে ভেঙ্কটেশ্বর স্বামীর মন্দির নির্মাণ করার পরিকল্পনার কথাও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত মাসে, তিরুমালার শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরের তত্ত্বাবধানকারী তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম (টিটিডি) ১৮ জন কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল। কারণ, তাঁরা হিন্দু ধর্ম ও ঐতিহ্য অনুসরণ করার শপথ নেওয়ার পরেও খ্রিস্টধর্ম পালন করছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এঁরা বোর্ড পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। এই ১৮ জন কর্মচারী টিটিডি পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অধ্যাপক, হোস্টেল কর্মী, ইঞ্জিনিয়ার, হেল্পার, নার্স এবং অন্যান্য প্যারামেডিক্যাল কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হওয়ায় বোর্ড আয়োজিত সব ধর্মীয় এবং আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠানে তাঁদের উপস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
১৮ নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত টিটিডি ট্রাস্ট বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, মন্দির প্রশাসনে বিভিন্ন পদে কর্মরত অ-হিন্দুদের সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে। ২০১৮ সালের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্য ধর্মে বিশ্বাস রাখা ৪৪ জন কর্মী তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমে কাজ করেন।
তিরুমালা তিরুপতি দেবাষ্টনম একটি স্বাধীন ট্রাস্ট। যারা অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা ভেঙ্কটেশ্বর মন্দির-সহ একাধিক মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক। লাড্ডু বিতর্কের পর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান বি আর নায়ডু বলেছিলেন, "মন্দিরে অ-হিন্দু কর্মীদের অনুমতি দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। আমার কাছে অ-হিন্দু কর্মীদের একটি তালিকা আছে। যেহেতু হিন্দুদের তরফে সংস্কারের দাবি তোলা হয়েছে তাই আমি তাঁদের সঙ্গে কথা বলব।" এর পাশাপাশি ট্রাস্টের তরফে এও বলা হয়েছিল যে, মন্দিরের ভেতর এবং বাইরে শুধুমাত্র হিন্দু ভেন্ডরদেরই অনুমতি দেওয়া হবে।