অমরাবতী: মন্দিরের পবিত্রতা নষ্টের আশঙ্কায় কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানমস (TTD)। মন্দির চত্বরকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করতে আবেদন জানালেন তিনি। কেন্দ্রীয় আকাশ পরিবহণ মন্ত্রী রামমোহন নায়ডু কিঞ্জরাপুকে চিঠে দিয়েছেন তিরুমালা তিরুপতি কর্তৃপক্ষ। মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার্থেই এই দাবি বলে জানিয়েছেন তাঁরা। অর্থাৎ তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরের আকাশে বিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন কিছুই ওড়ানো যাবে না বলে দাবি জানানো হয়েছে। তবে খাতা. কলমে ঘোষণা না হলেও, তিরুমালা তিরুপতি মন্দিরের উপর দিয়ে বিমান ওড়ানো এড়িয়ে যাওয়াই হয়। কিন্তু সেই নিয়ে লিখিত নির্দেশিকা চান মন্দির কর্তৃপক্ষ। (Tirumala Tirupati Devasthanams)
উপাসনা, মন্দির নির্মাণ এবং ধর্মীয় আচারানুষ্ঠানের যে বিধান রয়েছে আগম শাস্ত্রে, সেই নীতিকে সামনে রেখেই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। চিঠিতে বলা হয়েছে, তিরুমালা তিরুপতি মন্দির, যা বেঙ্কটেশ্বর মন্দির নামেও পরিচিত, সেটিকে ‘নো ফ্লাই জোনে’র অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আগম শাস্ত্রে মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার কথা বলা রয়েছে। এর সঙ্গে পুণ্যার্থীদের ভাবাবেগ এবং নিরাপত্তার প্রশ্নও জড়িয়ে। (No Fly Zone)
TTD চেয়ারম্যান বিআর নায়ডু জানিয়েছেন, তুলনামূলক কম উচ্চতা দিয়ে, সপ্তগিরি বা তিরুমালা পাহাড়ের উপর দিয়ে যে সব বিমান, হেলিকপ্টার এবং অন্যান্য উড়ন্ত যান উড়ে যায়, তাদের জন্য মন্দিরের বায়ুমণ্ডলের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে। চিঠিতে লেখা হয়, ‘লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থীদের কাছে মন্দিরের আধ্যাত্মিক গুরুত্ব অপরিসীম। প্রত্যেক বছর তাঁরা দর্শনে আসেন। সনাতনী আগম নীতি অনুযায়ী, মন্দিরের পবিত্রতা সবকিছুর ঊর্ধ্বে। মন্দির চত্বরে কোনও রকম গোলমাল বাধলে মন্দিরের পরিবেশের পবিত্রতা নষ্ট হয়। আকাশপথে উড়ানও এর মধ্যে পড়ে। এতে আধ্যাত্মিক বাতাবরণ নষ্ট হয় বলেই বিশ্বাস’।
কোনও মন্দির বা সৌধ সংলগ্ন জায়গা বা অন্য কোনও এলাকাকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণার অর্থ, সেখানকার আকাশে সবরকম গতিবিধি নিষিদ্ধ। সংশ্লিষ্ট মন্দির অথবা সৌধ চত্বরের শান্তি যাতে নষ্ট না হয়, পুণ্যার্থীদের উপাসনায় যাতে কোনও রকম বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তিরুমালা তিরুপতি কর্তৃপক্ষ সেই যুক্তিকে সামনে রেখেই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রের তরফে কিছু জানানো হয়নি এখনও পর্যন্ত।
বর্তমানে তাজমহল, দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ ভবন, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, প্রতিরক্ষা কেন্দ্রগুলি, মুম্বইয়ের টাওয়ার অফ সাইলেন্স, মথুরার তৈল শোধনাগার, ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র, অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির, কেরলের পদ্মনাভস্বামী মন্দির, শ্রীহরিকোটার মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ‘নো ফ্লাই জোনে’র মধ্যে পড়ে।