তিরুপতি: জগনমোহন রেড্ডির শাসনকালে তিরুপতি মন্দিরের লাড্ডু প্রসাদে গরুর চর্বি ও মাছের তেল (Tirupati Laddu Controversy) ব্যবহার করা হত বলে সম্প্রতি অভিযোগ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ও টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নায়ড়। তারপর থেকে বিতর্ক দেখে দিয়েছে দেশজুড়ে। লাড্ডু পরীক্ষার শ্রtesting( পর চন্দ্রবাবু নায়ড়ুর দাবি সত্যি বলে প্রকাশ্য আসার পর বিতর্ক আরও বেড়েছে। 


 টিটিডি বা তিরুপতি ট্রাস্টি বোর্ড এগজিকিউটিভ অফিসার পদে সাইয়ামালা রায় নিযুক্ত হওয়ার পরেই মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডু লাড্ডুর গুণগত মান উন্নত করার নির্দেশ দেন। তিনি জানান, কর্মচারীরা জানিয়েছেন যে এতদিন যে লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হত তা অত্যন্ত খারাপ মানের ঘি দিয়ে তৈরি হয়। পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এতদিন যে ঘি লাড্ডু তৈরিতে ব্যবহার হত তা খুবই খারাপ কোয়ালিটির। এর গুণগত মান বাড়ানোর জন্য ঘি সরবারহকারীদের সতর্কও করা হয়েছিল।


আরও জানা গেছে যে কোয়ালিটি চেক করার জন্য তিরুপতি ট্রাস্টি বোর্ডের নিজস্ব কোন পরীক্ষাগার নেই। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে দামে জগনমোহন সরকার তিরুপতি মন্দিরের জন্য ঘি কিনত সেই দামে কেউ ঘি সরবরাহ করতে রাজি হয়নি। আর যে সংস্থা তিরুপতি মন্দির লাড্ডু তৈরির জন্য ঘি সরবরাহ করত সেই সংস্থা অত্যন্ত খারাপ মানের ঘি দিতে। এআর ডেয়ারি প্রাইভেট লিমিটে নামে একটি সংস্থাটি এই ঘি সরবরাহ করার বরাত পেয়েছিল মার্চের ১২ তারিখ। আর তারা তিরুপতি ট্রাস্টি বোর্ডকে ঘি সরবরাহ করতে শুরু করে মে মাসের ১৫ তারিখ।


এপ্রসঙ্গে তিরুপতি ট্রাস্টি বোর্ডের এগজিকিউটিভ আধিকারিক সাইয়ামাল রায় জানান, ঘিয়ের গুণগত মান খারাপ হওয়ার জন্য আমরা ইতিমধ্যে চারটি ট্যাঙ্কার ফেরত পাঠিয়েছি সরবরাহকারী সংস্থাকে। আমরা ঘিয়ের গুণগত মান পরীক্ষার জন্য ৬ এবং ১২ জুলাই পাঠিয়েছিলাম। তাতে ঘি-তে অন্য়ান্য জিনিস মেশানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই ঘিতে পশুরু চর্বি সহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস মেশানোর প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা খুব তাড়াতাড়ি মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে একটি অত্যাধুনিক পরীক্ষাগার তৈরি করছি।


মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, তামিলনাড়ুর এআই ডেয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড ২০২৪ সালের ১২ মার্চ ঘি সরবরাহের টেন্ডার জমা দেয়। সেই টেন্ডার পাশ হয় ৮ মে আর ১৫ মে থেকে ঘি সরবরাহ শুরু করে সংস্থাটি। এক কিলো ঘিয়ের জন্য দাম নির্ধারণ করা হয় ৩১৯ টাকা। এরপর ৬ জুলাই ও ১২ জুলাই দুটি লপ্তে ৪টি ট্যাঙ্কার পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় তিরুপতি ট্রাস্ট বোর্ডের তরফে। তার এক সপ্তাহ বাদে প্রকাশ্য আসে রিপোর্ট। যেখানে লাড্ডু তৈরিতে গরু, শুয়োরের চর্বি ও মাছের তেল ব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।


আরও পড়ুন: Bengal Flood-Like Situation: এবার 'পত্রাঘাত', রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে ৪ পাতার চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর; কী লিখলেন ?