নয়াদিল্লি: মহাসাগরের বুকে সলিল সমাধি ঘটেছে ১০০ বছরেরও আগে। কিন্তু ‘টাইটানিক’ ঘিরে কৌতূহলে খামতি নেই আজও। তার আগে জাহাজের নৈশভোজের মেনু এবার নিলামে বিকোল ৮৩ হাজার পাউন্ডে, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৮৪.৫ লক্ষ টাকা। (Titanic Auction) বিষয়টি সামেন আসতেই নতুন করে ফের চর্চায় 'টাইটানিক'।
১৯১২ সালের ১৪-১৫ এপ্রিল আটলান্টিকে তলিয়ে যায় টাইটানিক। তার তিন রাত আগে, শেষ বার জাহাজের প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য নৈশভোজের মেনু তৈরি করা হয়েছিল। কয়েক দিন অন্তর অন্তর জাহাজে মেনু পাল্টানো হতো। শেষ বার তৈরি মেনুটিই নিলামে তোলা হয় সম্প্রতি। জাহাজ তলিয়ে যেতে থাকলেত লাইফবোটে সেটি সঙ্গে নিয়ে কেউ উঠেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। (Titanic Menu Card)
কিন্তু কে সেটি ওই মেনু সঙ্গে করে এনেছিলেন, তা এখনও অধরা। কেন ওই মেনু সঙ্গে নিয়ে লাইফবোটে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রাণ নিয়ে পালানোর মুহূর্তে মেনুটি সঙ্গে নিয়ে আসার প্রয়োজন বোধ হল কেন, সেই নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: India Canada Conflict: পরিণামের কথা না ভেবে এমন চলতে থাকলে...ফের ভারতকে নিশানা ট্রুডোর
শুধু তাই নয়, মেনুতে উল্লেখিত খাবার নিয়েও কৌতূহল দেখা দিয়েছে। মেনুতে ‘ভিক্টোরিয়া পুডিং’ নামের একটি পদের উল্লেখ রয়েছে। সেটি আসলে কী, তা জানতে আগ্রহী হয়ে পড়েছেন অনেকেই। জানা যাচ্ছে, সেটি আসলে শেষপাতে খাওয়ার পদ, অ্যাপ্রিকট, ফ্রেঞ্চ আইসক্রিম, ময়দা, ডিম, জ্যাম, ব্র্যান্ডি, আপেল, চেরি, চিনি এবং মশলা সহযোগে তৈরি শেষপাতের মিষ্টি পদ সেটি।
মেনুকার্ডটিতে জলের দাগ রয়ে গিয়েছে। তবে উপরিভাগে থাকা নক্ষত্রচিহ্নটি বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। ১১ এপ্রিলের ওই মেনুতে রয়েছে অয়েস্টার, স্যামন, বিফ, ডাক, চিকেন, আলু, ভাত। টাইটানিক থেকে উদ্ধার করে আনা জিনিসপত্র এবং পরবর্তী কালে ধ্বংসস্তুপ থেকে প্রাপ্ত ছোটখাটো সামগ্রীর সঙ্গে ওই মেনুকার্ডটি নিলামে তোলে হেনরি আলড্রিজ অ্যান্ড সন অফ উইল্টশায়ার। একটি কম্বলও তোলা হয় নিলামে।
কোনও অবস্থাতেই ডুববে না বলে জলে নামানো হয়েছিল 'টাইটানিক'কে। সেই সময়কার অভিজাত সম্প্রদায়ের মানুষজন তো বটেই, জীবন-জীবিকার সন্ধানে যাওয়া মানুষজনও ওঠেন ওই জাহাজে কিন্তু হিমশৈলে ধাক্কা খেয়ে মহাসাগরে তলিয়ে যায় 'টাইটানিক'। সবমিলিয়ে জাহাজে ১ হাজার ৫০০ জন যাত্রী ছিলেন।