কলকাতা: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র নিয়ে নিশানা সেধেছে। সেইসঙ্গে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, বাংলার বাইরে তৃণমূলের অস্তিত্ব কোথায়? বিজেপির এই বক্তব্য নিয়ে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূলের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেছেন, বিজেপি তো বলে বাংলার বাইরে তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই। তাহলে তারা আমার নিযুক্ত নিয়ে তারা এত উদ্বিগ্ন কেন?
তিনি বলেছেন, ‘ভোটের প্রচারে বিজেপির ইস্যু ছিল ছিল পরিবারতন্ত্র। মানুষের কাছে তারা উপযুক্ত জবাব পেয়েছে।
অভিষেক বলেছেন, বিজেপি যদি একান্তই পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে হয়, তাহলে তারা তো সংসদে এনিয়ে আইন করতে পারে। আইনে বলতে পারে, কোনও পরিবারের একজনের বেশি রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে পারবে না। যেদিন এই আইন হবে, তিনিই সবার প্রথমে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেন অভিষেক। তিনি বলেন, বিজেপি এই প্রশ্নে সম্পূর্ণ দ্বিচারিতা করছে।
অভিষেক এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ছেলে জয় শাহর ভারতের ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সচিব পদে থাকার প্রসঙ্গও তুলেছেন। অভিষেক বলেছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করতে পারি যে, আগামী ২০ বছর তিনি রাজ্য সরকারের কোনও পদে থাকতে চাই না। কিন্ত অমিত শাহর ছেলে কি বলতে পারেন যে, তিনি আগামী ২০ বছরে বিসিসিআই সভাপতি হবেন না।
অভিষেক বলেছেন, অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে বিজেপির নিজেদের দিকে তাকানো উচিত। তাদের যে সমস্ত নেতার আত্মীয়রা রাজনীতিতে যুক্ত, তাদের সরিয়ে দেওয়া উচিত।
উল্লেখ্য, সদ্যসমাপ্ত রাজ্য বিধানসভার ভোটের প্রচারে বিজেপি নেতাদের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন অভিষেকও। নাম না করে তাঁকে ‘ভাইপো’ বলে আক্রমণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি , অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। এদিন অভিষেক বলেছেন, ভোটের প্রচারে পরিবারতন্ত্রের ইস্যু তুলেছিল বিজেপি। রাজ্যের মানুষ এর জবাব দিয়েছেন।