নয়াদিল্লি: নানা কোনও ধর্মীয় সমাবেশ নয়, নাইবা ফ্রিতে উপহার নেওয়ারও হিড়িক। তবুও যে গ্রামীণ ভারতের ছবিটা অনেকটাই ছায়া ফেলল। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে এদিন রাজঘাটে তৃণমূলের ধর্নার শেষলগ্নে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। জুতো হারালেন সুজিত (Sujit Bose), ফোন হারালেন শান্তনু সেন (Santanu Sen)।


জুতো হারলেন সুজিত ! ফোন হারালেন শান্তনু


অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠক শেষের আগেই দিল্লি পুলিশের হুইসল বাজতে শুরু করে। সাংবাদিক বৈঠক ভন্ডুল করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আজ। জোর করে ধর্না তুলে দেওয়ার অভিযোগে অমিত শাহর পুলিশের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলের শীর্ষ নের্তৃত্ব। তৃণমূলের সাংসদ-মন্ত্রীদের ধাক্কাধাক্কির অভিযোগ। রাজঘাট থেকে বেরিয়ে অভিষেকের সাংবাদিক বৈঠকও সরিয়ে দেয় দিল্লি পুলিশ। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সমাধিস্থলে হট্টগোলের পাল্টা অভিযোগ দিল্লি পুলিশের। মোদির বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ার সময় লাঠি উঁচিয়ে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকদের তাড়া করে অমিত শাহর পুলিশ বলে অভিযোগ।আর ঠিক এমনই সময় জুতো হারলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু! পথ হারালেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানি। ফোন হারালেন সাংসদ শান্তনু সেন। 


'জোর করে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়েছে'


 তুমুল হুড়োহুড়ির মাঝে হঠাৎই দেখা যায়, জুতো ছাড়াই খালি পায়ে রাজঘাটের বাইরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতা সুজিত বসু।  রাজ্যের মন্ত্রীর কথায়, জোর করে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনার মাঝেই দিল্লি পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে রাজঘাট ছেড়ে বেরোলেও তৃণমূলের (TMC) বাকি অনেক নেতা ও কর্মীদের দিল্লি পুলিশের হেনস্থার মুখেই পড়তে হয় বলেই অভিযোগ।


আরও পড়ুন, দিল্লিতে দরবার তৃণমূলের, গাঁধীজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে রাজ্যপাল বলেন 'সকলের সুমতি হোক'


'কোনও কথাই কানে তোলেনি দিল্লি পুলিশ'


তৃণমূলের কংগ্রেসের সর্বভারীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাঝে এসে হঠাৎই ধাক্কাধাক্কি করে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআরপিএফ। প্রতিবাদ জানিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা জানালেও কোনও কথাই কানে তোলেনি দিল্লি পুলিশ। যদিও দিল্লি পুলিশের সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে রাজঘাটে শ্রদ্ধা জানাতে অনেকে আসেন। কিন্তু তৃণমূলের ধর্নার জেরে একদিকের গেটে প্রচুর ভিড় জমে গিয়েছিল। তাই তৃণমূল কর্মীদের প্রথমে বারবার সরে যেতে বলে মাইকে জানানো হয়। তারপরও তাঁরা না সরায় তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়।