কলকাতা: রাজ্যের বকেয়ার দাবিতে বঞ্চিতদের নিয়ে দিল্লিতে দরবার তৃণমূলের। আর এনিয়ে এদিন কটাক্ষ করলেন রাজ্যপাল। মূলত এমনিতেই উপাচার্য নিয়োগের ইস্যুতে রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত তুঙ্গে। তার উপর ২ তারিখে দিল্লিতে শাসকদলের দাপুটে দরবার নিয়ে ক্ষোভের আগুনে পড়ল ঘি। 'সকলের সুমতি হোক', ব্যারাকপুরের গাঁধীঘাটে গাঁধীজয়ন্তীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে মন্তব্য রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (Governor CV Ananda Bose)। পাল্টা জবাব দিলেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (Rathun Ghosh)।


কলকাতায় গান্ধী মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন ঘিরে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচি। মেয়ো রোডে গান্ধীজিকে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত তৃণমূল নেতারা। মূর্তির সামনে রেলিংয়ে লাগানো পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ তৃণমূল কংগ্রেসের ফ্লেক্স। এরপর এখানেই প্রতিবাদ কর্মসূচি রয়েছে বিজেপি মহিলা মোর্চার। পতাকা নিয়ে হাজির হন কয়েকজন বিজেপি কর্মী। রেলিংয়ে তৃণমূলের পাশেই বাঁধা হয় বিজেপির পতাকা। এর মধ্যেই আজ মেয়ো রোডে গান্ধীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। 


প্রসঙ্গত, রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ধূপগুড়ি ইস্যু হোক কিংবা উপাচার্য নিয়োগ, সবমিলিয়ে বিতর্কের ঝড় তুঙ্গে। আর ইতিমধ্যেই একাধিকবার তোপ দেগেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে সেটা এখন আর নিছকই অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগেই শুধু আটকে নেই। রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু শব্দবাণ কার্যতই সেই সংঘাত আরও উসকে দিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই পর্যায় পৌঁছে যায় যে, শেষ অবধি শনিবার তার পাল্টা গত শনিবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। তিনি বলেছিলেন,  'মুখ্যমন্ত্রী বিদেশ যাচ্ছেন, তাঁকে আমি নতুন করে টেনশন দিতে চাই না।' যদিও ইতিমধ্যেই গঙ্গা দিয়ে অনেকজল বয়ে গিয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশ সফর সেরে ফিরেছেন রাজ্যে। 


আরও পড়ুন, 'ভুয়ো জব কার্ডের নামে দুর্নীতি বাংলায়..', মমতাকে নিশানা গিরিরাজের



মূলত সম্প্রতি কড়া ভাষায় রাজ্য় সরকারকে নিশানা করেছিলেন রাজ্যপাল  সিভি আনন্দ বোস। শুক্রবার তার জবাব দিতে গিয়েই রাজ্যপালের উদ্দেশে 'মহম্মদ বিন তুঘলক, ফাঁসুড়ে'-র মতো শব্দ ব্যবহার করেন শিক্ষামন্ত্রী। মূলত গত শুক্রবার রাজ্যপালকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তার পাল্টা গত শনিবার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। শনিবার সকাল গড়াতেই হুঁশিয়ারির সুরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এদিন রাজ্যপাল বলেন,'যা করেছি, তাতে গর্বিত আমি। মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। কী হবে দেখতে পাবেন।' তবে রাজ্যপালকে জবাব দিতে দেরি করেননি ব্রাত্যও।