বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি : রিমোট ভোটিং সিস্টেম ( Remote Voting System) নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission) ডাকা বৈঠকে একাধিক প্রশ্ন তুলল তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। তাদের বক্তব্য, পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত ? সে নিয়ে কোনও সঠিক তথ্য নেই। তাদের আশঙ্কা, অন্য রাজ্য থেকে ভোট দিলে, সেখানকার শাসক দলের দ্বারা ভোটারের প্রভাবিত হতে পারে। তৃণমূলের আশঙ্কার পক্ষে সরব হন আরও কয়েকটি বিরোধী দলও।


কী কী শঙ্কা


বৈঠকে ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা, নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি, সাইবার হানার আশঙ্কার মতো একাধিক প্রশ্ন তুলেছে বাংলার শাসকদল। বিরোধীরা আপত্তি জানানোর পর, কীভাবে রিমোট ইভিএম (Remote EVM) কাজ করে, তা আর আজ দেখানো হয়নি। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব দলকে RVM নিয়ে মতামত জানানোর কথা বলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। 


ভোট দেননি অনেকেই, তাই রিমোট ভোটিং, বলছে কমিশন


২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election) প্রায় ৩০ কোটি নাগরিক ভোটদান থেকে বিরত ছিলেন। নানা কাজে ভিন রাজ্যে থাকা ভোটারদের, মত প্রকাশ করতে না পারাটা যার অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। এই প্রেক্ষাপটে রিমোট ইলেট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহারের কথা ভাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এর মাধ্যমে ভিনরাজ্যে বসেই কোনও ভোটার, তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন।


আলোচনায় সরব বিরোধীরা


রিমোট ভোটিং সিস্টেম নিয়ে নিয়ে আলোচনার জন্য সোমবার ৮টি জাতীয় এবং ৫৭টি রাজ্যস্তরের রাজনৈতিক দলকে বৈঠকে ডেকেছিল কমিশন। সূত্রের খবর, বৈঠকে কংগ্রেস (Congress), তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)-সহ প্রায় সিংহভাগ বিরোধী দলই এই রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের বিরোধিতা করেছে। কোনও রাজ্যে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা, মডেল কোড অফ কনডাক্ট, সাইবার হানার আশঙ্কার মতো একাধিক প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র-রা তৃণমূলের প্রতিনিধি হিসেবে হাজির ছিলেন নির্বাচন কমিশনের যে বৈঠকে। যারা বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকের সামনে রিমোট ভোটিং নিয়ে ঘাসফুল শিবিরের শঙ্কাগুলি তুলে ধরেন।


বিরোধীরা আপত্তি জানানোর পর, কীভাবে এই আরভিএম কাজ করে, তা এদিন আর দেখানো হয়নি। প্রথমে রিমোট ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে মতামত জানানোর কথা জানিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিন সেই সময়সীমা বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে।