ঋত্বিক মণ্ডল, কলকাতা: বাম-যুবদের রেড ভলান্টিয়ার্সদের পাল্টা এবার তৃণমূলের সবুজসঙ্গী। শাসক দলের এই যুব সংগঠনের দাবি, অতিমারী পর্বে অসহায়ের পাশে থাকতে রাজ্যজুড়ে নেমে পড়েছেন সবুজসঙ্গীরা। বামেদের কাজকর্ম লোক দেখানো বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূলের এই সংগঠন। পাল্টা জবাব দিয়েছে বামেরা।


 করোনা ভাইরাসের দাপট লাখ লাখ প্রাণ কেড়েছে। আক্রান্তও অসংখ্য।  সর্বনাশা করোনা দেশকে নিঃস্ব করে দিলেও, সঙ্কটকালই আবার বুঝিয়ে দিয়েছে মানুষের পাশে  মানুষই থাকে। মহামারীর প্রথম পর্ব থেকে অসহায়দের জন্য রেড ভলান্টিয়ার্সদের নাছোড় লড়াই, দ্বিতীয় পর্বেও এগোচ্ছে সমান গতিতে। 
এবার পাশে থাকার ক্ষেত্রেও যেন অদৃশ্য প্রতিযোগিতা।কার্যত রেড ভলান্টিয়ার্সদের পাল্টা হিসেবে পথে নামল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় থাকা নতুন সংগঠন, সবুজসঙ্গী।


করোনা আক্রান্তের জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া...সংক্রমিতদের জন্য রান্না করা খাবারের ব্যবস্থা করা...হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে চলছে কর্মকাণ্ড। মানুষের পাশে দাঁড়াতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন সবুজসঙ্গীর সদস্যরা।যুব তৃণমূল কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক কুন্তল ঘোষ বলেছেন, আমাদের ২৪৮ জন ডোনার কাজ করছেন সব জায়গায়।  সবুজসঙ্গীদের দাবি, লোকদেখানো নয়, তাঁরা নীরবে কাজ করছেন। রেড ভলান্টিয়ার্সদের উদ্যোগকে প্রচারসর্বস্ব বলে কটাক্ষ করেছে যুব তৃণমূলের এই সংগঠন।
কুন্তল ঘোষ বলেছেন,  ২০২০ থেকে কাজটা করছি নিশ্চুপভাবে, রেড ভলান্টিয়ার্সরা সিপিএম নয়, এসপিএম অর্থাৎ সোশাল মিডিয়া সিপিএম হয়েছে, ওরা কাজের থেকে সোশাল মিডিয়ায় বেশি থাকে। 
এই বক্তব্যকে সরাসরি খারিজ করে দিয়েছে বামেরা। 


অনেকেই বলছেন সাহায্য নিয়ে প্রতিযোগিতা হলেও, শেষপর্যন্ত উপকৃত হচ্ছেন একজন অসহায়। এটাও বা কম কী?
করোনা অতিমারীর প্রকোপ রুখতে গত বছরই লকডাউন জারি হয়েছিল। ওই সময় সারা দেশ দেখেছে পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে কী অপরিসীম দুঃখকষ্টের মুখে পড়েছিলেন। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে এসেছিলেন অনেক সহৃদয় ব্যক্তি। এছাড়াও আক্রান্তদের পাশেও এগিয়ে এসেছিলেন অনেকেই। এবারও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময়ও  দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকায় এবার সবুজসঙ্গীও।