কলকাতা: ৮৩ দিন পর ১০ জুন থেকে স্টুডিও পাড়ায় ফের শুরু হবে শ্যুটিং। ১৫ জুন থেকে শুরু হবে সিরিয়ালের নতুন পর্বের সম্প্রচার।


রাজ্য সরকারের অনুমতি ছিল, ১ জুন থেকেই শ্যুটিং শুরু করার। তারপর দফায় দফায় আর্টিস্ট ফোরাম, ফেডারেশন, ইম্পা, চ্যানেল কর্তৃপক্ষ এবং প্রযোজকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের পৌরহিত্যে বৈঠকে খুলল জট।


কিন্তু, করোনা মোকাবিলায় সরকারি নির্দেশিকা বলছে, প্রকাশ্যে মাস্ক পরতে হবে। মানতে হবে সোশাল ডিসট্যান্সিং। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে সম্ভব শ্যুটিং? বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত ১০ বছরের নীচে কোনও শিশু শিল্পীকে নিয়ে শ্যুটিং করা যাবে না। ৬৫ বছরের ঊর্ধেব যে সব প্রথিতযশা শিল্পী আছেন, তাঁরা চাইলে অভিনয় করতে পারেন। তবে, সেক্ষেত্রে লিখিত সম্মতি দিতে হবে।


শ্যুটিং মানেই বহু মানুষের সমাবেশ। আপাতত সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক সঙ্গে ৩৫ জনের বেশি শ্যুটিং ফ্লোরে থাকবেন না। মেক আপ আর্টিস্টের সাহায্য নেওয়ার পরিবর্তে শিল্পী নিজেই মেকআপের সরঞ্জাম আনতে পারবেন। এমনকী, নিজেরা মেকআপও করতে পারবেন। শ্যুটিংয়ের কস্টিউম প্রত্যেক শিল্পীকে বাড়িতে নিয়ে যেতে হবে সুরক্ষার স্বার্থে।


সিনেমার একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে প্রেমের দৃশ্য। সিরিয়ালেও থাকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত। কিন্তু, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল শর্তই হল সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা। এবং সেটা মেনেই শ্যুটিং হবে বলে জানানো হয়েছে। সেটাই আগামী দিনে সিরিয়াল ও সিনেমার চিত্রনাট্যের বড় চ্যালেঞ্জ।


বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত এড়িয়ে চিত্রনাট্য লিখতে হবে। এমনকী, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই কারিগরির সাহায্যে কীভাবে প্রেম ও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের দৃশ্য পর্দায় ফুটিয়ে তোলা যায়, তারও প্রয়াস করতে হবে।


করোনা আবহে শ্যুটিং পর্বে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করার স্বার্থে প্রত্যেক কলাকুশলীর জন্য ২৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার পঞ্চাশ শতাংশ দেবে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ। প্রযোজক ৪০ শতাংশ, আর্টিস্ট ফোরাম দেবে ১০ শতাংশ।


পাশাপাশি বৈঠকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, টলি-পাড়ার কোনও টেকনিশিয়ানই কর্মচ্যুত হবেন না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সবাইকেই নেওয়া হবে শ্যুটিংয়ে।