নয়াদিল্লি: ইতিমধ্যে মিশর থেকে ৬০৯০ টন পেঁয়াজ আমদানির বরাত দেওয়া হয়েছে। এবার দেশের বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা, তার লাফিয়ে বাড়তে থাকা দামে রাশ টেনে ধরার প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে তুরস্ক থেকেও ১১০০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অর্ডার দিল এমএমটিসি। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে পেঁয়াজ আমদানি করছে এই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা।
গত মাসেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ঘরোয়া বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়াতে, দেশের বড় বড় শহরে তার দাম কেজিপিছু ৭৫ থেকে ১২০ টাকায় বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিদেশ থেকে ১.২ লক্ষ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেয়। পাশাপাশি পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরো ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে মজুতের সীমাও বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্র।
আগামী জানুয়ারিতে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ এসে পৌঁছতে পারে বলে সূত্রের খবর। মিশর থেকে চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পেঁয়াজ আসছে মুম্বইয়ের জেএনপিটি-তে।
পেঁয়াজের দামের ওপর নজর রাখতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পৌরহিত্যে একটি মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ, ক্রেতা সুরক্ষা, কৃষি ও পথ পরিবহণমন্ত্রীরা তাতে রয়েছেন। সচিবদের একটি কমিটি, ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রকের সচিব অবিনাশ কে শ্রীবাস্তবও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন।
গত ১৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় খাদ্য ও ক্রেতাসুরক্ষা বিষয়ক মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান ২০১৯-২০ বর্ষে খরিফ ও খরিফ শেষের মরসুমে পেঁয়াজ উত্পাদন ২৬ শতাংশ কমে ৫.২ মিলিয়ন টন হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন।