গত ৬-৭ বছরে করদাতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই কিন্তু কিন্তু ১৩০ কোটির দেশে মাত্র দেড় কোটি মানুষ কর দেন, যা দেশের জনসংখ্যার নিরিখে নগণ্য। যাঁরা কর দিতে সক্ষম, তাঁদের আত্মসমীক্ষা করা উচিত, বললেন প্রধানমন্ত্রী। যাঁরা নিয়মমাফিক কর মেটান, তাঁরা দেশের উন্নতিতে অবদান রাখেন, তাঁদের সম্মান জানাবে সরকার। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, করদানে জটিলতা দূর করাই আমাদের লক্ষ্য। কর জমার ক্ষেত্রে স্ক্রুটিনি কোনও নির্দিষ্ট আধিকারিক দ্বারা হবে না, ফলে করদান-প্রক্রিয়া দুর্নীতিমুক্ত হতে চলেছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ফেসলেস অ্যাপিল সার্ভিস।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এর ফলে মিনিমাম গভর্নমেন্ট, ম্যাক্সিমাম গভর্নেন্সের ব্যাপারে সরকারের যে অঙ্গীকার, তা আরও দৃঢ় হবে। এর মূল উদ্দেশ্য হল, প্রতিনি আইন, রীতিনীতি মানুষ কেন্দ্রিক করা, মানুষের পক্ষে সরল করা। নয়া প্রশাসনিক মডেল এটাই, এর সুফলও দেশ পাচ্ছে। তিনি বলেছেন, করদাতাদের স্বার্থ সুরক্ষিত করাই সরকারের লক্ষ্য। দেশের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ দেখে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে, করোনা-কালেও দেশে রেকর্ড বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে। স্বাধীনতার পর কর সংস্কার খুব ধীর গতিতে হয়েছে, মুষ্টিমেয় মানুষের জন্য বহু মানুষকে ভুগতে হয়েছে, ফলে পিছিয়ে পড়েছে যুবসমাজ। আইনি জটিলতা কমলেই দেশের উন্নয়ন ত্বরাণ্বিত হয়। শেষ কয়েক বছরে আয়কর দফতরে বেশ কয়েকটি সংস্কার হয়েছে, এগুলির মধ্যে রয়েছে চালু কোম্পানিগুলির ক্ষেত্রে কর্পোরেট কর ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা ও নতুন কোম্পানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ করা। ডিভিডেন্ড ট্যাক্স বাতিল করা হয়েছে।
এবার ডিরেক্ট ট্যাক্স সংক্রান্ত আইনকানুন সরলতর করার কথা ভাবা হচ্ছে।