রিও ডি জেনেইরো: মাঝেমধ্যেই কিছু অদ্ভুত কথা বলে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জইর বোলসোনারো। এবার তিনি টেনে নিয়ে এলেন আমাজন জঙ্গলে আগুন লাগার প্রসঙ্গ। সারা বিশ্বের মানুষ যে ঘটনার ছবি দেখেছে, খবর পড়েছে, হা-হুতাশ করেছে, সে ঘটনাকে ডাহা মিথ্যা বলে রাতারাতি উড়িয়ে দিতে চাইলেন তিনি। রেন ফরেস্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনার অস্তিত্বের কথাই অস্বীকার করলেন তিনি। বললেন, যাঁরা এসব বলছেন,  তাঁরা বনের ভিতর কোনও আগুন খুঁজে পাবেন না। এক সিকি হেক্টর বনও উজাড় হয়েছে বলে তাঁরা দেখাতে পারবেন না।


বৃষ্টিপ্রধান অঞ্চলের এই বনকে রক্ষায় আমাজন দেশগুলোর মধ্যে হওয়া লেটিসিয়া চুক্তির অংশীদার দেশগুলোর বৈঠকে প্রাক্তন এই সেনাপ্রধান এমন দাবি করেছেন। তিনি বলেন, আমাজনে অগ্নিকাণ্ড বাড়ছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, তা মিথ্যা। কাজেই সঠিক সংখ্যার জানান দিয়ে আমাদের পাল্টা লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু ব্রাজিল সরকারের প্রকাশিত তথ্য থেকেই জানতে পারা যাচ্ছে যে, অঞ্চলজুড়ে অগ্নিকাণ্ড বাড়ছে। গত বছরও আমাজনে আগুনের কথা অস্বীকার করেছিলেন বোলসোনারো নিজেই।মঙ্গলবার তিনি যখন অগ্নিকাণ্ডের কথা অস্বীকার করছেন, তখনও বিচ্ছিন্ন আমাজন শহর আপুইতে দিনের বেলায় আগুনের কুণ্ডলী আকাশের দিকে উঠতে দেখা গিয়েছে।

বোলসোনারো বলেন, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এ বনাঞ্চলে আগুন ধরে না। আগুন ও বন নিধনের বিরুদ্ধে আমরা সর্বাত্মক লড়াই করছি। কিন্তু তার পরও আমাদের সমালোচনা করা হচ্ছে। বোলসোনারো-র মন্তব্যের প্রেক্ষিতে কড়া সমালোচনায় নেমেছেন অনেকই। বার বার যে আগুন জঙ্গলে দেখা গিয়েছে তাকে কেমন করে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট মিথ্যা বলে চালাতে চাইছেন তা অনেকই বুঝতে পারছেন না।

২০১৯ সালের অগস্ট মাসে জঙ্গলটিতে অগ্নিকাণ্ড বেড়ে গিয়েছিল। চলতি মাসে তা আরও খারাপের দিকে গিয়েছে। অগস্টের প্রথম ১০ দিনে এক হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি। কিন্তু মঙ্গলবার দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তাদের দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বোলসোনারো বলেন, আমাজনের উপর দিয়ে বিমানযোগে দূরবর্তী শহর বোয়া ভিস্টা থেকে মানোস পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করেও কেউ একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও দেখতে পাবেন না।