নয়াদিল্লি: সপ্তাহান্তে ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল দেশের রাজধানী (Earthquake)। শনিবার রাতে কম্পন অনুভূত হল দিল্লিতে। আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে শনিবার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৫.৮। তারই প্রভাব দিল্লিতে এসে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। তবে কম্পন অনুভূত হলেও, ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত। এর আগেও আফগানিস্তানে ভূমিকম্প হওয়ার পর, তার আঁচ এসে পড়েছিল দিল্লিতে। (Delhi Tremors)
দিল্লির পাশাপাশি রাজধানী সংলগ্ন এলাকাতেও কম্পন অনুভূত
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির ডিরেক্টর জেএল গৌতম সংবাদমাধ্যমে বলেন, "উত্তর ভারতের একাধিক জায়গায় কম্পন অনুভূত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং পঞ্জাবেও অনুভূত হয়েছে কম্পন।" দিল্লির পাশাপাশি রাজধানী সংলগ্ন এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।
প্রায়শই ভূমিকম্প হয় আফগানিস্তানে। বিশেষ করে হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চল বলেই পরিচিত। কারণ ওই এলাকা ইউরেশিয়ান এবং ইন্ডিয়ান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগ স্থলে অবস্থিত।
আফগান সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বের জুর্ম অঞ্চলে কম্পন অনুভূত হয়। এ বছর ২১ মার্চ ওই এলাকাতেই তীব্র কম্পন অনুভূত হয়েছিল। সেবার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৬। মার্চেও আফগানিস্তানে ভূমিকম্পের রেশ এসে পৌঁছেছিল ভারতে। পর পর আফটারশক অনুভূত হয়েছিল।
শনিবার হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে ভূপৃষ্ঠের ২০০ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি গভীরতা থেকে কম্পনের উৎপত্তি হয় বলে জানা গিয়েছে। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, গভীরতা বেশি হওয়ার কারণেই তীব্রতা তুলনামূলক কম। এর আগে মার্চ মাসের ভূমিকম্পের উৎস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১৮৭ কিলোমিটার গভীরে। জুর্ম থেকে দিল্লির দূরত্ব ১০০০ কিলোমিটারের বেশি। তার পরেও আঁচ এসে পৌঁছেছে। তবে গভীরে উৎসস্থল হওয়াতেই ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গভীরে উৎসস্থল হওয়াতেই ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, যা পাকিস্তান এবং তাজিকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত, সেটি ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবেই পরিচিত। প্রায়শই কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। তীব্রতা থাকে মোটামুটি ৬-এর উপরেই। শনিবার সেখানে ৫-এর উপর পর পর পাঁচ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে।