নয়াদিল্লি: সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের সাংসদরা। কৃষকদের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার নির্দেশে এদিন কৃষকদের সঙ্গে দেখা করেন ডেরেক ওব্রায়েন, শতাব্দী রায়, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রতিমা মণ্ডল, মহঃ নাদিমুল হক। এদিকে কিষাণ দিবস উপলক্ষে আজ দুপুরে না খেয়ে আন্দোলন করছেন কৃষকরা।


আজই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিংহের জন্মবার্ষিকী। আর এদিনই ২৮ দিনে পড়ল দিল্লি-নয়ডা সীমান্তে কৃষকদের আন্দোলন। ৩ কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন হাজার হাজার কৃষক। উত্তরপ্রদেশ জুড়ে এই ৩ আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেস। অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস জানিয়েছে, কৃষক আন্দোলনকে সংহতি জানিয়ে আজ তারাও দুপুরে খাবেন না। এদিন ৩২ কৃষক সংগঠন কেন্দ্রের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসবে। রবিবার কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার আলোচনায় বসতে চেয়ে চিঠি লিখেছেন কৃষক নেতাদের। জানতে চেয়েছিলেন কবে তাঁরা আলোচনায় বসবেন। সেই চিঠির উত্তরে মঙ্গলবার তাঁরা জানান, আজ বৈঠকে বসবেন।

এদিকে মঙ্গলবার, ২ কৃষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী। সারা ভারত কৃষক ইউনিয়ন এবং কিষাণ সংহর্ষ সমিতি জানিয়েছে, ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দিতে হবে। কারণ ৩০ শতাংশ আন্দোলনকারী কৃষকদের জন্য ৭০ শতাংশ কৃষক ভুগবে কেন। আমরা প্রগতিশীল কৃষক এবং আমরা সবাই জানি যে এই ৩ আইন আমাদের দেশে কৃষি এবং কৃষি বাণিজ্যকে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলবে। সরকার আন্দোলনরত কৃষকদের চাপ দিলে আমরা আন্দোলন করব।

গতকাল দিল্লি-গাজিয়াবাদ সীমান্তে ৯ নম্বর জাতীয় সড়কের ১৪ লেন অবরুদ্ধ করে রাখেন কৃষকরা। শুক্রবার কৃষকদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী রবিবার মোদির মন কী বাত অনুষ্ঠানে থালা বাজাবেন কৃষকরা। একইসঙ্গে দেশবাসীকেও ঘরে বসে এই কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর থেকে ৩ কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন কৃষকরা। রাজধানীর কনকনে ঠান্ডায় রাস্তায় বসে আছেন তাঁরা। দফায় দফায় কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে মেলেনি সমাধান সূত্র। খোদ অমিত শাহ আসরে নামলেও অনমনীয় কৃষকরা। তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশ বিদেশে রাষ্ট্র প্রধানরা। সংহতি জানাচ্ছে বিরেধী দলগুলিও।