নয়া দিল্লি: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা নিয়ে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন, কড়া নিন্দা করেছিলেন আমেরিকার শীর্ষনেতারা। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জঙ্গিহানার কড়া নিন্দার পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি শোকজ্ঞাপনও করেছিলেন তিনি। তবে এবার দিলেন বার্তা।

ভারত এবং পাকিস্তান দুই দেশের সঙ্গেই আমি ঘনিষ্ঠ, জঙ্গি হামলা খুব খারাপ ঘটনা। পহেলগাঁও হামলার পর অবস্থান স্পষ্ট করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাংবাদিক সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, আমি ভারতের খুব কাছের, আমি পাকিস্তানেরও খুব কাছের। কাশ্মীর নিয়ে হাজার বছর ধরে লড়াই চলছে। সম্ভবত তার চেয়েও বেশি সময় ধরে। তবে এই হামলা খুবই খারাপ ঘটনা। সীমান্তে উত্তেজনা দেড় হাজার বছরের। পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সবসময়েই প্রচণ্ড উত্তেজনা ছিল। আমি দুই দেশের নেতাকেই চিনি। আমি নিশ্চিত যে, তাঁরা কোনও না কোনওভাবে এর সমাধান করবেন। 

মঙ্গলবারের হামলার পরেই আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার কাছ থেকে পুঙ্খানুপুঙ্খ খোঁজ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।                                                                               

ওয়াকিবহাল মহলের মত ইজরায়েল-গাজা বা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আমেরিকাকে একাধিকবার সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতা করতে দেখা গেলেও, দক্ষিণ এশিয়ার দুই পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের দ্বন্দ্বে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবেন এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেছেন, “একটি দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে।” পহেলগাঁওয়ের ঘটনার নিন্দা করলেও ভারত-পাক সংঘাতের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি জানান, “১,৫০০ বছর ধরে এই উত্তেজনা রয়েছে। তারা নিজেরাই কোনও না কোনও ভাবে এর সমাধান করবে বলে আমি নিশ্চিত।” এদিকে, ট্রাম্পের এই নতুন মন্তব্যে নেটিজেনদের মধ্যে জল্পনা বেড়েছে। কেউ কেউ বলছেন, ‘১৯৪৭ সালের আগে পাকিস্তানের অস্তিত্বই ছিল না। যার ফলে পাকিস্তানের বয়স ৭৮ বছর। যা ট্রাম্পের দাবির চেয়ে ৯২২ বছর কম।’ আবার কেউ লিখছেন, ‘কেবল ট্রাম্পই এমন ব্যক্তি, যিনি বলতে পারেন, পাকিস্তান এবং ভারত এক হাজার বছর ধরে কাশ্মীর নিয়ে লড়াই করছে। পাকিস্তান এবং ভারতের এখনও একশো বছরও হয়নি।”