নয়াদিল্লি:ট্যুইটার-ট্রাম্প সংঘাত এখনও অব্যাহত। এবার এক ধাপ এগিয়ে ট্যুইটার সিইও জ্যাক ডোরসে নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থেকে বললেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হচ্ছে। সেটা নজরে এনে তিনি ঠিকই করেছেন। ডোরসে পাল্টা ট্যুইটে লিখেছেন, ‘‘আমরা নির্বাচন সংক্রান্ত ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বিশ্বের নজরে আনতেই থাকব। একে "সত্যের সালিশী" করা বলে না। আমাদের উদ্দেশ্য হল, বিরোধী বক্তব্যগুলি একত্রে জুড়ে এবং বিতর্কিত তথ্যগুলি চোখের সামনে তুলে ধরা, যাতে মানুষ নিজেই বিচার করতে পারে।’’
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের দুটি ট্যুইটের দিকে আঙুল তুলেছে টুইটার । উল্লেখ করা হয়েছে, ‘মেলে পাঠানো ব্যালট সম্পর্কে যথার্থ তথ্য জানুন’। যেখানে ক্লিক করলেই খুলে যাচ্ছে একটি ফ্যাক্ট চেক পেজ। সেখানে আরও কয়েকটি লিঙ্কও দেওয়া আছে। সেই লিঙ্কে ক্লিক করলে ট্রাম্পের বক্তব্যকে খণ্ডন করে এমন আর্টিকলগুলি পড়া যাবে।
কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট দিতে ভিড় না করে 'মেল-ইন' ভোট করার কথা ভাবছে মিশিগান, নেভাদা। এই পদ্ধতিতে ভোটদাতাদের কাছে ব্যালট পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আবার তা পোস্ট করেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতেই গত সপ্তাহে কোনরকম তথ্যপ্রমাণ না দিয়েই ট্রাম্প টুইট করেছিলেন, 'ডাকে পাঠানো ব্যালটে যে ব্যাপক কারচুপি হবে এটা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই।'
যদিও মিশিগানের এই সিদ্ধান্তে আইনত নাক গলাতে পারেন না ট্রাম্প। সেসব তোয়াক্কা না করেই তিনি মিশিগানের ফেডারাল ফান্ডিং বন্ধ করার হুঁশিয়ারি দেন।
ট্রাম্পের এই ট্যুইটের তথ্য নিয়ে ট্যুইটার প্রশ্ন তুলতেই তিনি ফের টুইট করে বলেন, এরা ''বাক স্বাধীনতার পুরো কণ্ঠরোধ করছে''।