নয়াদিল্লি: নয় নয় করে দু’সপ্তাহ পার হয়ে গিয়েছে। ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ এখনও চলছে। বরং যত সময় যাচ্ছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বিভাজন আরও স্পষ্ট হচ্ছে। আমেরিকা, ব্রিটেনের মতো দেশ যেখানে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করেছে, সেখানে হামাসকে ‘স্বাধীনতাকামী সংসঠন’ বলে উল্লেখ করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তইপ এর্দোয়ান। (Israel Palestine War)


বুধবার দেশের পার্লামেন্টে দলীয় সদস্যদের সামনে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ নিয়ে মুখ খোলেন এর্দোয়ান। সেখানে তিনি জানান, তুরস্কের সঙ্গে বন্ধুত্বের নামে সুযোগ নিয়েছে ইজরায়েল। দুই দেশের সম্পর্ক যে ভাবে এগোবে ভাবা হয়েছিল, সেই সম্ভাবনা আর নেই। ইজরায়েলের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। (Israel Palestine Conflict) বাইরে থেকে অন্যরা ঢুকে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলেও দাবি করেন এর্দোয়ান।


হামাস প্রসঙ্গে এর্দোয়ানের বক্তব্য, “ইজরায়েল হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখতেই পারে। সেই পথে হাঁটতে পারে পশ্চিমি দেশগুলিও। পশ্চিমি দেশগুলির থেকে হয়ত ওদের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আছে, আমাদের নেই। হামাস কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন নয়, ওরা মুজাহিদিন, নিজেদের ভূমিরক্ষায় প্রাণ লড়িয়ে দিচ্ছে।”


আরও পড়ুন: Israel Palestine War: এমনি এমনি হামলা চালায়নি হামাস, মন্তব্য রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিবের, তাঁর পদত্যাগ চাইল ইজরায়েল


এর আগে ইজরায়েল সফরে যাওয়ার কথা থাকলেও, সেই সফর বাতিল করেছেন এর্দোয়ান। তিনি বলেন, “এই অমানবিক যুদ্ধের জন্য সফর বাতিল করছি। একটি প্রকল্প নিয়ে কথা ছিল। কিন্তু বাতিল করে দিয়েছি। আর যাব না।”


এর্দোয়ানের সঙ্গে এ ব্যাপারে একমত তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী হাকান ফিদান। তিনি বলেন, “মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটিয়ে চলেছে ইজরায়েল। প্যালেস্তিনীয় ভাই, শিশু, রোগী, বয়স্ক কাউকে বাদ দিচ্ছে না। স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদেও হামলা করা হচ্ছে। মানবজাতির বিরুদ্ধে অপরাধ ঘটাচ্ছে ইজরায়েল।”


বুধবার ইজরায়েল বনাম প্যালেস্তাইন যুদ্ধ ১৯তম দিনে পা রেখেছে। ইজরায়েলি আক্রমণে সবমিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৭৯১ জন প্যালেস্তিনীয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।  এর মধ্যে মঙ্গলবারই শুধুমাত্র ৭০৪ জন মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৯৭। আবার হামাসের হামলায় ১ হাজার ৫০০ ইজরায়েলি নাগরিক মারা গিয়েছেন বলে দাবি উঠছে।  এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। গাজায় ইজরায়েল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুতেরাস। তাতে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেছে ইজরায়েল।