নয়াদিল্লি : ভূমিকম্পে ( Earthquake ) বিধ্বস্ত তুরস্ক ( Turkey ) ও সিরিয়ায় ( Syria ) লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।দুই দেশ মিলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ৮ হাজার ৩৯৪ জনের। শুধুমাত্র তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা ৬ হাজার ছুঁইছুঁই। দুই দেশে আহতের সংখ্যা ৪২ হাজারের বেশি।
তুরস্ক ও সিরিয়ায় ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার বাড়িঘর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। স্বজনহারা হাজার হাজার মানুষ। হাসপাতালে তিলধারণের জায়গা নেই। এর পাশাপাশি, হাড়কাঁপানো প্রবল ঠান্ডায় উদ্ধারকাজ চালানো মাঝেমাঝেই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হচ্ছে অনেককে। ঠান্ডার কারণে ধ্বংসস্তূপের নীচে আটকে থাকা মানুষের
বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
৭.৮-মাত্রার ভূমিকম্প সোমবার আঘাত হানে। শহর তখন ঘুমে। পরপর বহুতল ধসে পড়ে চোখের পলকে। তুরস্কের গাজিয়ানটেপ এবং কাহরামানমারাস শহরগুলি এখন ধুলো বাড়ি, ইটের পাহাড় মাত্র। ধ্বংসলীলার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। তুরস্কের কাহরামানমারাস শহরে উদ্ধারকারীরা বলছেন, 'এমন অবস্থা দেখিনি... শিশুরা ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে'। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, "এটি এখন সময়ের বিরুদ্ধে একটি প্রতিযোগিতা।" ডব্লিউএইচও সতর্ক করেছে যে বিশাল ভূমিকম্পে ২৩ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ।
১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। ণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ। আর সোমবারের মহাপ্রলয়ের পরও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। সঙ্কটের এই মুহূর্তে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। তুরস্ক গিয়েছে NDRF-এর দুটি উদ্ধাকারী টিম, সঙ্গে ডগ স্কোয়াড। প্রচুর ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীও পাঠানো হয়েছে ভারত থেকে।
অন্যদিকে, তুরস্ক, সিরিয়ার পর এবার মধ্য প্রাচ্যের আরও একটি দেশে ভূমিকম্প। কেঁপে উঠল প্যালেস্তাইন। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৪ দশমিক ৮। কম্পনের উৎসস্থল প্যালেস্তাইনের নেবলাস শহরে ১৩ কিলোমিটার উত্তরে মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। হতাহতের খবর এখনও মেলেনি।