নয়া দিল্লি: ভূমিকম্পে (Earthquake) ক্রমেই কঠিন পরিস্থিতি হচ্ছে তুরস্ক (Turkey)- সিরিয়ায় (Syria)। ভূমিকম্পের কোপে দুই দেশেই বাড়ছে মৃত্যু (Death) সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মোট মৃত্যু সংখ্যা প্রায় ১৪০০। এর মধ্যে তুরস্কে মৃতের সংখ্যা ৯১২, সিরিয়ায় ৩২৬। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। 


প্রবল এই ভূকম্পে তুরস্কে ভেঙে পড়েছে ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি, বহুতল। আজ ভোরে তুরস্কের দক্ষিণ প্রান্তে প্রবল ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। ভূমিকম্পের উৎসস্থল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি শহর। ১০ মিনিট পরেই আফটার শক। দ্বিতীয়বার কম্পনের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭।ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, লেবানন, সিরিয়া, গ্রিস, ইরানেও প্রবল কম্পন অনুভূত হয়।                 


কম্পনের জেরে হুড়মুড়িয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে থাকে একের পর এক বহুতল এবং বাড়ি। সেই বাড়িগুলির নীচে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বহু মানুষের। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। 


আরও পড়ুন, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আরাধ্য দেবতার নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণের অভিযোগ, বিক্ষোভ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সদস্যদের


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ( PM Narendra Modi )ইতিমধ্যেই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ককে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। তিনি বার্তা দিয়েছেন, "ভারত তুরস্কের জনগণের সঙ্গে রয়েছে। এই বিপর্যয় মোকাবিলায় সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত ভারত" জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।






তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ( Turkish President Recep Tayyip Erdogan ) বলেছেন, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় "তৎক্ষণাৎ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে"। তিনি টুইটারে লিখেছেন, "আমরা আশা করি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমরা এক সঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব এবং কম ক্ষতির মুখোমুখি হব"। মন্ত্রী (Interior Minister ) সুলেমান সোয়লু ( Suleyman Soylu ) এখনই ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিতেগুলিতে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।