নয়াদিল্লি : যে দিকে, যতদূর চোখ যায় শুধু ধ্বংসস্তূপের ছবি ! তাসের ঘরের মতো মাটিতে মিশে যাচ্ছে একের পর এক গগনচুম্বি বাড়ি! ধুলোয় ঢেকে যাচ্ছে গোটা এলাকা ! গোটা শহরই যেন পরিণত হয়েছে মৃত্যুপুরীতে! চারিদিকে শুধু স্বজন হারানো কান্নার রোল! প্রকৃতি একবার রুদ্রমূর্তি ধারণ করলে যে কী বীভৎস চেহারা নিতে পারে, তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল তুরস্কের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প (Turkey Syria Earthquake )!
ভয়াবহ ভূমিকম্পের ( Earth Quake ) পর তুরস্ক (Turkey) এবং প্রতিবেশী উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় ( Syria ) মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৮০০-এরও বেশি। সোমবার ভোরে ৭.৯ মাত্রার ভূমিকম্পটি উভয় দেশে অনুভূত হয়। সেই ধাক্কায় বিশাল বিশাল বহুতল ধসে পড়ে। ধ্বংস হয়ে যায় হাসপাতাল। হাজারো মানুষ ছাপা পড়ে যান। গৃহহীন হয়ে পড়েছে হাজার হাজার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তাপমাত্রা রাতারাতি হিমাঙ্কের কাছাকাছি নেমে গিয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া বা গৃহহীনদের অবস্থা আরও খারাপ করেছে আবহাওয়া । যাঁরা খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন, তাঁদের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া অনেকেই ঠান্ডার কামড়ে প্রাণ হারিয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রবল ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজও।
মৃতের সংখ্যা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে কেউ জানে না ! প্রবল প্রতিকূলতার মধ্যেই শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ ! চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ আর সার সার মৃতদেহের ছবি সামনে এসেছে। তারমধ্যেই সোমবার ভোরের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ৫০ বার আফটার শক হয়েছে তুরস্ক ও সিরিয়ায়।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৯৩৯ সালে শেষবার এমনই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিল তুরস্কে। সেবারও রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৩ হাজার মানুষ।
আর সোমবারের মহাপ্রলয়ের পরও অব্যাহত মৃত্যুমিছিল। সঙ্কটের এই মুহূর্তে তুরস্কের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। তুরস্ক যাচ্ছে NDRF-এর দুটি উদ্ধাকারী টিম, সঙ্গে ডগ স্কোয়াড। প্রচুর ওষুধ ও খাদ্য সামগ্রীও পাঠানো হচ্ছে ভারত থেকে।