লকডাউনের ফলে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের বিমানে উড়িয়ে দেশে ফেরত আনার কর্মসূচির আওতায় গত ৭ মে দুবাই ও আবুধাবি থেকে যাঁরা তিরুঅনন্তপুরম এসেছেন, তাঁদের মধ্যেই আছেন তাঁরা। এঁদের যোগ করলে রাজ্যে মোট কোভিড-১৯ এ সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ৫০৫ হল বলে জানিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তাঁর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেরলে বর্তমানে হাসপাতালে ১৭ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিতের চিকিত্সা চলছে। মারা গিয়েছেন চারজন। চিকিত্সায় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ৪৮৪ জন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ইডুক্কির একজন চিকিত্সাধীন রোগী আজ সম্পূর্ণ সেরে উঠেছেন। নতুন করে সংক্রমিত দুজনের চিকিত্সা চলছে কোচি ও কোঝিকোড়ে। তাঁরা গত পরশু আবুধাবি-কোচি ও দুবাই-কোঝিকোড় বিমানে দেশে ফেরেন বলে জানিয়েছেন বিজয়ন।
গত বৃহস্পতিবার এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে কেরলে ফিরেছেন ৩৬৩ জন প্রবাসী ভারতীয়।
এখনও পর্যন্ত কেরল কোভিড-১৯ সংক্রমণের রাশ ধরে রাখায় সফল বলে জানিয়েও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাইরের দেশ থেকে ফেরা ভারতীয়দের মাধ্যমে সম্ভাব্য তৃতীয় দফার সংক্রমণ মোকাবিলায় অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে রাজ্যকে।
এয়ার ইন্ডিয়া ছাড়াও আইএনএস জলসা জাহাজেও উপসাগরীয় এলাকা থেকে কেরলে ফিরছেন ৬৯৮ জন ভারতীয়।
৭ থেকে ১৩ মে পর্যন্ত ৬৪টি বিমান চালাবে এয়ার ইন্ডিয়া। আগামী কয়েকদিনে আরও কয়েক হাজার ভারতীয় দেশে ফিরছেন।
কেরল সরকারের দাবি, যে ভারতীয়দের দেশে ফেরানো হচ্ছে, তাদের প্রত্য়েককে রওনা হওয়ার আগে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করাতে হবে, দেশে পৌঁছনোর পর থার্মাল পরীক্ষা সহ বহুস্তরীয় স্ক্রিনিং হওয়া চাই।
কেরলে ফেরা প্রত্যেককে সাতদিনের বাধ্যতামূলক সরকারি কোয়ারেন্টিনে থেকে আরটি-পিসিআর টেস্ট করাতে হবে, তারপর থাকতে হবে সাতদিনের হোম কোয়ারেন্টিনে।