রঞ্জিত হালদার ও শান্তনু নস্কর, ভাঙড়: ভাঙড়ে জোড়া খুন। ভাইপো ও শ্যালককে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্থানীয় সাট্টা কারবারির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে কাশীপুর থানা এলাকার বানিয়াড়া এলাকায়। মৃত দুই ব্যক্তির নাম রবিউল ইসলাম ও লাল্টু মোল্লা।


রক্তে ভাসছে দেহ। ঘরময় মাটিতে পড়ে চাপ চাপ রক্ত। লণ্ডভণ্ড গোটা ঘর। বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ, গতকাল রাতে দুই যুবককে ডেকে নিয়ে যায় স্থানীয় সাট্টা কারবারি নেপ্টাউদ্দিন খান ও তার দলবল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে দুই যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিউল নেপ্টাউদ্দিনের ভাইপো ও লাল্টু ওই দুষ্কৃতীর শ্যালক। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সাট্টায় জিতে নেপ্টাউদ্দিনের কাছে টাকা চাওয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা। মূল অভিযুক্তের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


ঘটনায় অভিযুক্ত নেপ্তাউদ্দিন খান এলাকায় সাট্টা এজেন্ট বলে পরিচিত। মৃতদের লাল্টু মোল্লার পরিবারের অভিযোগ, নেপ্তাউদ্দিনের কাছে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সাট্টা খেলেছিলেন লাল্টু। ৯০ হাজার টাকা জেতেন তিনি। বেশ কিছুদিন ধরেই নেপ্তাউদ্দিনের কাছে সেই টাকা দাবি করছিলেন লাল্টু। শনিবার রাতে ফোন করে লাল্টুকে বাড়িতে ডাকেন নেপ্তাউদ্দিন। এরপর নিজের বাড়ির উঠোনেই লাল্টুকে কোপাতে থাকেন নেপ্তাউদ্দিন।


মৃত লাল্টু মোল্লার মা হালিমা বিবি জানিয়েছেন, লাল্টুকে নেপ্তাউদ্দিন খুন করেছে। ১০ হাজারের সাট্টা খেলেছিল। গতকাল রাতে ডাকে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারে। অভিযোগ, লাল্টুকে খুনের সময় দেখে ফেলায় এরপর রবিউল ইসলামকেও একইভাবে খুন করেন নেপ্তাউদ্দিন। আহত হন আরও বেশ কয়েকজন। প্রত্যক্ষদর্শী সাঞ্জুরা বিবির কথায়, "রাতের বেলা আওয়াজ শুনে বাইরে আসি। বেরোনোর পর আমাকেও কোপ মারতে যায়। আমি পালিয়ে যাই। রবিউলকে কোপ মারে। পড়ে গেলে আবার কোপ, আমার স্বামীকেও কোপ মারতে যায়।"


ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত নেপ্তাউদ্দিন খান। তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সাট্টায় জিতে নেপ্তাউদ্দিনের কাছ থেকে টাকা চাওয়াতেই এই খুন। একদিকে যখন হাড়হিম করা খুনের ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে ভাঙড় থানার পুলিশ। অন্যদিকে তখন সোনার দোকানে বড়সড় ডাকাতির ছক বানচাল করল পাশেরই জীবনতলা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ৩জন দুষ্কৃতীকে। উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ।