নয়াদিল্লি: ১৩ দিনে পড়ল ইজরায়েল-হামাস (Israel-Hamas War) যুদ্ধ। মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহত প্রায় দেড়হাজার হামাস জঙ্গি। ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে ৬৫ ও লেবাননে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। দক্ষিণ গাজার রাফাহ্ শহরে ইজরায়েলের রকেট-হামলায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জন প্যালেস্তিনীয়র। অন্যদিকে, বাইডেনের সফরের পর আজই ইজরায়েলে যাচ্ছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক (UK PM Rishi Sunak)। যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে তেল আভিভে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। 


যুদ্ধের দশম দিনে লেবাননে হেজবোল্লার সামরিক ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত আনে ইজরায়েল। নাবলাস, হেবরন, বেথলেহেমে ইজরায়েলি সেনার হাতে পাকড়াও হয় বহু জঙ্গি। হামাসের বিরুদ্ধে প্রথমবার আয়রন বিম লেজার ব্যবহার করে ইজরায়েল। হামাসের বিরুদ্ধে লড়ার সময় ভারতীয় বংশোদ্ভূত তিন তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২ জন ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেসে ছিলেন। এক তরুণীর নাম ও মোজেস, গাজার কাছে জিকিমে হামাসের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে মৃত্যু হয় ওই মহিলা সেনা অফিসারের। দ্বিতীয় জনের নাম কিম ডোকরকর, তিনি ইজরায়েল বর্ডার গার্ড পুলিশের অফিসার। গাজার কাছে সংঘর্ষ চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। ইজরায়েলের দাবি, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬ হাজার রকেট-হামলা হয়েছে। হামাস-হামলায় এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৯১ জন ইজরায়েলি সেনার।রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে গাজা ভূখণ্ডে ৫০ হাজার অন্তঃসত্ত্বা প্রাথমিক চিকিৎসাটুকুও পাচ্ছেন না। 


মঙ্গলবার রাতে গাজার আল-আহলি হাসপাতাল তীব্র বিস্ফোরণের কেঁপে ওঠে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চলতে থাকে আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণ। এর পর গতকাল অর্থাৎ বুধবার দিনভর এই নিয়ে উত্তপ্ত থেকেছে আন্তর্জাতিক মহল। ইজরায়েল সরকার হামাসের দিকে দায় ঠেললেও, তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কারণ গত সপ্তাহে প্যালেস্তিনীয়দের গাজা ছাড়ার নিদান দেয় তারা। খালি করতে বলা হয় হাসপাতালগুলিকেও। দলে দলে মানুষ যখন মাথা বাঁচানোর চেষ্টা করছেন, লাগাতার বোমা-রকেট বর্ষণ চালিয়ে যায় ইজরায়েল।


তাই হাসপাতালে বিস্ফোরণের পর সারি সারি দেহ বেরোতে দেখে আন্তর্জাতিক মহলেও ধাক্কা খায় ইজরায়েল। আরব দেশগুলি তো বটেই, জার্মানিও হাসপাতালে হামলার তীব্র নিন্দা করে। ভারতের তরফেও দোষীদের দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করা হয়। সেই আবহে হামাসের দিকেই আঙুল তুলছে ইজরায়েল সরকার। তাদের দাবি, আল-আহলি হাসপাতাল থেকে রকেট ছুড়তে উদ্যোগী হয় Islamic Jihad নামের একটি সংগঠন। সেটি ব্যর্থ হলে হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটে।